জুমবাংলা ডেস্ক : শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বৃহস্পতিবারও ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নামে। যাত্রীচাপ সামাল দিতে এদিন বাংলাবাজার ঘাট থেকে অন্তত ২৫ টি খালি ফেরি শিমুলীয়া ঘাটে পাঠায় ফেরি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে দফায় দফায় বৈরী আবহাওয়ায় যাত্রীরা বৃষ্টিতে ভিজেই দুর্ভোগের সাথে ঘাট পর্যন্ত এসে নদী পার হয়েও পরিবহন বন্ধ পায়। এরপর কয়েকগুণ ভাড়া গুনে দুচাকার মটরসাইকেল, ৩ চাকার ইজিবাইক, থ্রি হুইলার, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে চরম ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।
শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার যাত্রাপথে দুই ফেরিতে প্রচণ্ড গরমে হুড়োহুড়িতে ৫ জন নিহত হওয়ার পর এ রুটে প্রশাসনিক তৎপরতা বেড়েছে। বাংলাবাজার ঘাটে ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতা অনেক বেশি দেখা গেছে। ফেরি সার্ভিসও গতিশীল করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসিসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, শেষ মুহুর্তে বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট হয়ে দক্ষিনাঞ্চলগামী ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের ঢল নামে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রী ঢল আরো বেড়ে যায়।
যাত্রীচাপ সামাল দিতে শিমুলিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে আসার সাথে সাথে আনলোড করে ফেরিগুলোকে শিমুলিয়া ঘাটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত অন্তত ২৫টি খালি ফেরি বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়ায় পাঠায় বিআইডব্লিউটিসি।
শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মিরাজ হোসেন বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ যাত্রীচাপ কিছুটা কম রয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় ঘাট এলাকায় ও বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্যরা দায়ীত্ব পালন করছেন। ঘাট পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আর বুধবার ফেরিতে গরমে মারা যাওয়া পাঁচ জনের পরিচয় শনাক্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মাদারীপুর ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রমথ রঞ্জন ঘটক বলেন, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌছতে পারে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, আইন শৃংখলা বাহিনী সকলের সমন্বয়ে টিম গঠন করে আমরা ঘাটে দায়ীত্ব পালন করছি। যাতে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে ফেরিতে উঠতে ও নামতে পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।