জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের লালখানবাজারে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ জানা যায়, লালখান বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের গণসংযোগের সময় নির্ধারিত ছিল বিকেল সাড়ে ৫টায়। এ সময় তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ স্থানীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। বিকেলে সমাবেশস্থলে লালখানবাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম নিজেদের অনুসারীদের জমায়েত করতে থাকেন। এ সময় দু’পক্ষ মুখোমুখি হলে উত্তেজনা বেড়ে যায়।
এক পর্যায়ে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা একে অপরকে পাথর নিক্ষেপ শুরু করে। পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী লালখানবাজারে তার পূর্বনির্ধারিত শিডিউল বাতিল করে ফিরে আসেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেন বলেন, বেলাল আর মাসুম গ্রুপের মধ্যে ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সংঘাতের খবর পেয়ে রেজাউল করিম ওই এলাকায় গণসংযোগ না করে ফিরে যান।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় কুমার বসাক বলেন, ‘মেয়র প্রার্থীর প্রচারণায় অংশগ্রহণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সামান্য সমস্যা হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
জানা গেছে লালখান বাজার ওয়ার্ডে আবুল হাসনাত বেলাল ও দিদারুল আলম মাসুম উভয়ই কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের সমর্থনপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে সমর্থনের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েন মাসুম। বেলাল মনোনয়ন পেলে বিরোধিতায় সরব হন মাসুম।
এর আগে ৮ জানুয়ারি নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ছাত্রলীগ কর্মী রোহিত গত শুক্রবার চট্টগ্রাম মেডিকেল মারা যান। এছাড়া গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর পাঠানটুলি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিল প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গোলাগুলিতে নিহত হয় আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।