জুমবাংলা ডেস্ক : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা ইমন। দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন চট্টগ্রামে। চুরির ঘটনায় ২০০৮ সালে প্রথম গ্রেফতার হন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের হাতে। এরপর কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়েও থেমে যায়নি ইমনের চুরির কারবার। ঘটিয়েছেন অন্তত তিন থেকে চারশ’ চুরির ঘটনা। ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে জেলে যান আরো তিনবার।
পেশায় চোর হলেও এলাকায় বড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ইমন। নিজেকে পরিচয় দিতেন দেশের স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হিসেবে। ফলে এলাকায় তার কদরও ছিল অনেক। এর বাইরে পরিবারের সদস্যরা জানতো- তার রয়েছে বেশকিছু অটোরিকশা। সব মিলিয়ে বিলাসী জীবন তার। ব্যবহার করতেন লাখ টাকার মোবাইল ফোন ও দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি। বাড়িতে পুষতেন বিদেশি বিড়াল-কুকুর।
সম্প্রতি নগরের কোতোয়ালি থানার হেমসেন লেনের বড়ুয়া গলি ও নন্দনকানন এলাকার পৃথক দুটি চুরির ঘটনা তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইমনকে শনাক্ত করে পুলিশ। এরপরই বেরিয়ে আসে তার শত শত চুরির কাহিনী। অভিযান চালিয়ে দুই স্ত্রী ও এক সহযোগীসহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার অন্যরা হলেন- দুই স্ত্রী শাজাদা আক্তার সাদিয়া ও আনিকা সুলতানা সানির এবং সহযোগী আশরাফ খান। এর মধ্যে সাদিয়া ও সানির আপন বোন বলে জানায় পুলিশ। তাদের বাবার বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলায়। আশ্রাফ খানের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায়।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, দুটি চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে চোর চক্রটির সন্ধান পাই। এরপর অভিযান চালিয়ে সাত ভরি ১২ আনা ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, ৭৮ হাজার টাকা, ছয়টি মোবাইল ফোন, দুটি ল্যাপটপ, ৫২টি ভারতীয় রুপির কয়েন ও বিভিন্ন চোরাই মালামালসহ তাদের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি আরো বলেন, এর আগেও বন্দর, হালিশহর, সদরঘাট ও বাকলিয়া থানায় চুরির ঘটনায় চারবার গ্রেফতার হয় ইমন। চুরির পর সেসব মালামাল বাসায় সংরক্ষণ করতো তার দুই স্ত্রী শাজাদা আক্তার সাদিয়া ও আনিকা সুলতানা সানির এবং বিক্রিতে সহযোগিতা করতো আশরাফ খান। শনিবার তাদের আদালতে পাঠানো হলে বিচারক ইমন ও আশরাফের দুদিন করে রিমান্ড দেন বলে জানান ওসি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।