জুমবাংলা ডেস্ক: জর্ডানের রাজধানী আম্মানে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
জর্ডান সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ প্রতিপালন এবং নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দিবসটি উপলক্ষ্যে সোমবার দূতাবাস প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও জর্ডানের প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। ১০ জানুয়ারি স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন স্মরণে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মিজ নাহিদা সোবহানসহ প্রবাসী বাংলাদেশি প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দীর্ঘ ৯ মাস পর পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন বঙ্গবন্ধু যুক্তরাজ্যকে ট্রানজিট হিসেবে বেছে নেন কারণ যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করে ও যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনে ব্যাপক অবদান রাখেন।
তিনি আরও বলেন, ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এই দিনকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়ন করতে উপস্থিত সকলকে আহবান জানান। তিনি বলেন বিদেশের মাটিতে প্রবাসীরা প্রত্যেকে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের একখণ্ড বহন করে।
প্রবাসীরা যাতে জর্ডানসহ আন্যান্য বিদেশীদের কাছে ১০ জানুয়ারির তাৎপর্য ও ইতিহাস তুলে ধরে এজন্য তিনি উপস্থিত সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
বক্তব্য শেষে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতার জন্য তাঁর আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, ওই দিন বঙ্গবন্ধুকে দেখার জন্য ঢাকায় জনতার ঢল নামে। বঙ্গবন্ধুকে স্বাগত জানাতে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান ছিল জনসমুদ্র। বিমান থেকে নেমে মাটিতে পা দিয়েই আবেগে কেঁদে ফেলেন বঙ্গবন্ধু। আবেগাপ্লুত ও কান্নাজড়িত কণ্ঠেই তিনি রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার সামনে ভাষণ দেন। উপস্থিত বক্তারা তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরেন। বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রীসহ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।