জুমবাংলা ডেস্ক : নেত্রকোনা জেলায় জুয়া খেলা বন্ধে চিরুনি অভিযানের অংশ হিসেবে কেন্দুয়া উপজেলায় গত ৪ জুন রাতে পুলিশের অভিযানে মেম্বার ও পৌর কাউন্সিলর সহ ৯ জুয়ারী আটক হয়। অপরদিকে মদন থানায় ৬ জনকে আটক করে পুলিশ। পরদিন ১৫ জুয়ারিকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে কোর্ট থেকে সকল জুয়ারি জামিনে বের হয়ে আসেন পরদিনই। পরবর্তীতে কুখ্যাত জুয়ারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত এবং দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার একাধিক মামলার আসামি থাকায় স্থানীয় দল থেকে বহিস্কার করা হয় যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফাকে।
ঘটনার তিনমাস পর কেন্দুয়া থেকে আটক ওই যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা (৩৫) বাদী হয়ে ৮ সেপ্টেম্বর ওসি রাশেদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অন্যায়ভাবে আটক করে এনে পুলিশ হেফাজতে রেখে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ও খুনের উদ্দেশ্যে সাধারণ ও গুরুতর জখম, এবং মানহানি করার অপরাধে মামলা হয়েছে এই মর্মে ওসির বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশকে নির্দেশ দিলে ৯ সেপ্টেম্বর কেন্দুয়া থানার হাবিবুল্লাহ খান মামলাটি এফআইআরভুক্ত করেন।
বিলম্বের কারন হিসেবে মামলার অভিযোগে তিনি লিখিত বক্তব্যে করোনাভাইরাসের কারণে আদালত বন্ধ থাকার কথা উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে মামলার আসামি কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান জানান, একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন যাবত কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাদক, জুয়াসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিল। তাদের এসকল কুকর্মে বাধা দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে তারা আদালতে মামলা করেছে।
তিনি আরো জানান, মামলার বাদী গোলাম মোস্তফাসহ আরো ৮জনকে ৪ জুন রাতে পৌরসভার সাউদপাড়া এলাকা থেকে জুয়া খেলা অবস্থায় আটক করা হয়। পরদিন তাদেরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বিপুল জানান, নানা ধরনের অনৈতিক কাজের অভিযোগ রয়েছে গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে। যে কারণে তাকে দল থেকে বহিস্কার করতে বাধ্য হই। সে পার্শ্ববর্তী মদন থানায়ও আটক হয়েছে কয়েকবার। এসব বিষয় খোঁজ নিলেই আরো জানতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।