স্পোর্টস ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ টুর্নামেন্টে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে সৈকত আলির ১১ বলে ২৭ রানের ক্যামিওতে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১৫১ পর্যন্ত যেতে পেরেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে চট্টগ্রামকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য, এক চারের মারে করেন ৬ বলে ৫ রান। ইনজুরিতে মুমিনুল হক ছিটকে পড়ায় তিন নম্বরে নামেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। লিটন দাসকে নিয়ে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দেন মিঠুন। কিন্তু সুমন খানের করা ষষ্ঠ ওভারে পরপর চার ও ছয় হাঁকিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ১৭ রান।
অপরপ্রান্তে লিটন ছিলেন সাবলীল। আগের ম্যাচে করা ফিফটির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দৃষ্টিনন্দন সব শট খেলতে থাকেন লিটন। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি নিজের ওপর। ইনিংসের দশম ওভারে আবু জায়েদ রাহী বোলিংয়ে উদ্ভাবনী শট খেলতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে মেহেদি মিরাজের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তখন তার নামের পাশে ৪ চারের মারে ২৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংস।
পরে দেখেশুনে খেলতে শুরু করেন শামসুর শুভ ও মোসাদ্দেক সৈকত। দুজন মিলে যোগ করেন ২৮ রান। দলীয় ৯৬ রানের মাথায় ২৮ বলে ২৬ রান করে আউট হন শুভ। দলকে হতাশ করে ৯ বলে মাত্র ২ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন জিয়াউর রহমান। এরপর ইনিংসের বাকিটা সাজান মূলত সৈকত আলি। মোসাদ্দেক সৈকতের সঙ্গে মাত্র ১৮ বলে যোগ করেন ৪০ রান।
এর মধ্যে আবু জায়েদ রাহীর করা ১৯তম ওভারে তিন ছয়ের মারে ২৩ রান তুলে নেন সৈকত আলি। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হওয়ার আগে ১১ বলে এক চার ও তিন ছয়ের মারে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন সৈকত আলি। মোসাদ্দেক সৈকতের ব্যাট থেকে আসে এক ছয়ের মারে ২৪ বলে ২৮ রানের ইনিংস। শেষদিকে দুই চারের মারে ৪ বলে ৮ রান করেন নাহিদুল ইসলাম।
বল হাতে বরিশালের পক্ষে ২ উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী। এছাড়া সুমন খান, কামরুল রাব্বি, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদি মিরাজের ঝুলিতে যায় ১টি করে উইকেট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।