জুমবাংলা ডেস্ক : টেবিলে বইগুলো সাজানো, বিছানাটাও পরিপাটি গুছানো। তৌহিদুল তার টেবিলে ভাত বেড়ে রেখেছিল সেহরিতে খাবে বলে, সন্ত্রাসীরা সে ভাতও তাকে খেতে দেয়নি। এর আগেই একদল সন্ত্রাসী মেছে ডুকে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। নিহত তৌহিদুল ইসলাম জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১০ম ব্যাচের ছাত্র, সেশন (২০১৫-১৬)।
গতকাল শুক্রবার (১ মে) ভোর রাতে ময়মনসিংহ শহরের নিজ মেসে ছিনতাইকারীদের এলোপাতাড়ি কোপে হামলার শিকার হয়ে মারা যান তৌহিদুল। নিহত তৌহিদ নেত্রকোনা আটপাড়া উপজেলার সাইফুল ইসলামের ছেলে। তৌহিদুলের কয়েকজন সহপাঠি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে কি লাভ? তৌহিদ কি ফিরে আসবে আবার তার মায়ের কোলে?
তারা আরও বলেন, আমাদের সমাজ টা কবে সুস্থ হবে? শহরে অসংখ্য পেশাদার ছিনতাইকারী আছে এবং সেগুলো নির্দিষ্ট এলাকায় সক্রিয়। এগুলো সবাই জানে কিন্তু এরপরও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা দেখি না। এগুলো খুবই হতাশাজনক ও দুঃখজনক! বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে যেতো, বন্ধ হয়ে যেতো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক! কিন্তু জানি আজ কিছুই হবে না।
এই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বের করা হয়তো কোন বিষয়ই না। বর্তমানে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায়ই সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত। এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিও করেন তৌহিদুলের সহপাঠিরা।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে, যে বা যারাই এই হত্যা কান্ডের জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।