জুমবাংলা ডেস্ক : শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল নৌবন্দরের ডিসির ঘাট সংলগ্ন বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে যাত্রীবাহী এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ডুবে যাওয়া ক্লিংকারবাহী কার্গো উদ্ধার নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চারটি উদ্ধারযানের সম্মিলিত উত্তোলনক্ষমতা ৬২০ টন। তবে ডুবে যাওয়া হাজি মো. দুদু মিয়া নামের কার্গোটির ওজন ৬০০ টন। আর কার্গোতে ১২০০ টন ক্লিংকার রয়েছে। তারপর পানি ঢুকে এর ওজন অনেকটা বেড়েছে। এ নৌযানটি উদ্ধারে অক্ষম বিআইডব্লিউটিএ।
এদিকে কার্গোটি নৌপথের নৌযান চলাচলের মূল চ্যানেলে ডুবেছে। এ কারণে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কার্গোটি সরানো না গেলে চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুব-উল ইসলাম দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চারটি উদ্ধারযানের সম্মিলিত উত্তোলন ক্ষমতা ৬২০ টন। ১২০০ টন ক্লিংকার বোঝাই জাহাজটির ওজন আরও ৬০০ টন। ডুবে যাওয়ার পর এখন প্রায় ২ হাজার টন ওজন হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজের ডুবে যাওয়া কার্গো উদ্ধারের সক্ষমতা নেই। তাই কার্গোর মালিকপক্ষকে এক মাসের মধ্যে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কার্গোটি উদ্ধারের জন্য বলা হয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে তারা উদ্ধারে ব্যর্থ হলে কার্গোটি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে। পরে ডুবুরি নামিয়ে কেটে কেটে জাহাজটি উদ্ধার করে নদীরপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখা হবে বলে জানান কমোডর এম মাহবুব-উল ইসলাম।
এম মাহবুব-উল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিআইডব্লিউটিএ’র ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ ধরনের দুর্ঘটনারোধে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
দুপুরে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, কার্গোটির সামনের দিক পুরোপুরি পানির নিচে এবং পেছনের দিকের কিছু অংশ পানির ওপরে জেগে আছে। এর পাশেই রয়েছে উদ্ধারকারী নৌযান ‘নির্ভীক’। এ উদ্ধারকারী নৌযানটির সর্বোচ্চ ২৬০ টন ওজনের নৌযান টেনে তোলার সক্ষমতা আছে।
লঞ্চ মালিক সমিতির একাধিক নেতা জানান, ঢাকা-বরিশাল নৌপথে বিশাল আকারের বিলাসবহুল যাত্রীবাহী লঞ্চ ও পণ্যবাহী জাহাজ, তেলের ট্যাংকার ও মালবাহী কার্গো চলাচল করে। এছাড়া এ নৌপথে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে কলকাতায় যাতায়াতের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কার্গোটি নৌপথের মূল চ্যানেলে ডুবেছে। এটি সরানো না গেলে চ্যানেলটি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কার্গোটি উদ্ধারে ব্যর্থ হলে গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটটি হুমকির মুখে পড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।