আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কিয়ান বৃহস্পতিবার তাইওয়ান ইস্যুতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। অঞ্চলটির স্বাধীনতার অর্থ হচ্ছে যুদ্ধ। খবর আল জাজিরা ও বিবিসির।
তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেও দাবি করেন উ কিয়ান। অঞ্চলটির পানিসীমায় বেইজিং-এর সামরিক কর্মকাণ্ডকে চীনের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।
উ কিয়ান বলেন, তাইওয়ানের সামান্য কিছু লোকজন দ্বীপটির স্বাধীনতা চায়। তবে স্বাধীনতাকামীদের আমরা সতর্ক করে দিয়েছি। উসকানি ও বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে চীনের সশস্ত্র বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। আগুন নিয়ে যারা খেলবে, তারা নিজেরাই পুড়বে। তাইওয়ানের স্বাধীনতার অর্থ হচ্ছে যুদ্ধ।
এমন সময়ে চীনের পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য এলো যার কদিন আগেই নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
এদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি নিয়েও হুঁশিয়ারি জানিয়েছে বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই সেখানে জাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে। যা শান্তির জন্য ভালো নয়।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত দক্ষিণ চীন সাগরে বিমান ও নৌযান পাঠিয়ে নিজেদের শক্তির প্রদর্শন করছে। যা এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর।
চীন-তাইওয়ান বিরোধের সূত্রপাত ১৯২৭ সালে। ওই সময়ে চীনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে গৃহযুদ্ধ। ১৯৪৯ সালে মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা জাতীয়তাবাদী সরকারকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে এ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়। জাতীয়তাবাদী নেতারা পালিয়ে তাইওয়ান যান। এখনও তারাই তাইওয়ান নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাথমিকভাবে ওই সময় যুদ্ধ বন্ধ হয়ে পড়লেও উভয় দেশই নিজেদের চীনের দাবিদার হিসেবে উত্থাপন শুরু করে। তাইওয়ানভিত্তিক সরকার দাবি করে, চীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের দ্বারা অবৈধভাবে দখল হয়েছে। আর বেইজিংভিত্তিক চীন সরকার তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্নতাকামী প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অঞ্চলটিতে উত্তেজনা বেড়েছে এবং দ্বীপটিকে আবারও নিয়ন্ত্রণে পেতে শক্তি ব্যবহারের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে চীন। যদিও হাতে গোনা কয়েকটি দেশ তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তবে এর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের অনেক দেশের সঙ্গেই দৃঢ় বাণিজ্যিক ও অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।