জুমবাংলা ডেস্ক : আড়াইহাজারে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন ২ নারীসহ ৫ প্রতারক। শনিবার রাতে উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের পাল্লা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় জনতা ওই ৫ জনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
পাল্লা এলাকার স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় আল আমিনের বাড়িতে প্রবেশ করেন ২ নারীসহ ৬ জন। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে আল আমিনের স্ত্রী রেখা বেগমকে মাদক ব্যবসায়ী বলে আখ্যা দেয় এবং গ্রেফতারের ভয় দেখায়। এ সময় তারা রেখা বেগমের কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করে।
এ সময় রেখা বেগমের ঘর তল্লাশি করে ঘরে থাকা টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ একটি ব্যাগও নিয়ে নেয়। রেখা বেগম তাদের বাধা দিতে গেলে ওই ২ নারী রেখা বেগমকে সেখানে প্রহার করা শুরু করেন এবং তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারীদের ঘিরে ফেলেন।
এ সময় উপস্থিত সোহেল নামের একজন পুলিশের পোশাক পরিহিত আইডি কার্ড দেখাতে পারলেও বাকিরা কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। ওই সময় স্থানীয় লোকজন পুলিশের বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে জানতে পারেন তারা কোনো পুলিশ সদস্য নয়।
এ সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারীরা দৌড়ে পালানোর সময় স্থানীয় লোকজন তাদের মধ্যে প্রতারক সোহেল রানা (৩৩), রাজু মোল্লা ওরফে সুজন (৩৪),শাহাদাৎ হোসেন ওরফে সুমন (৩২), মনি ইসলাম (৩৩) ও তামান্না আক্তারকে (২৯) আটক করে গণপিটুনি দেয়। ওই সময় প্রতারক আতাউর রহমান বকুল ওরফে মনিরুল ইসলাম (৫২) নামে অপর প্রতারক পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ নারীসহ ওই ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে রেখা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আড়াইহাজার থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) আনিচুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পলাতক আসামিকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ র্যাব পরিচয়দানকারী তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফতুল্লার মাসদাইর আমান ভবনের আমান উল্লাহর ছেলে রাতুল (২২), আলীরটেকের আমান উল্লাহের ছেলে জুয়েল (৩৫), ফতুলার ইসদাইর বাজারের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে রুবেল (৩০)। তাদের বিরুদ্ধে রোববার প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বাদী শান্তা বেগম জানান, তিন অজ্ঞাত ব্যক্তি শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জিমখানা রেলওয়ে কোয়াটার্সে তার বসতবাড়িতে এসে নিজেদের র্যাব পরিচয়ে তল্লাশি শুরু করে এবং তাদের মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে আখ্যা দেয়। এ সময় তারা অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখায়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদের আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়।
শান্তা বেগম জানান, এর আগেও গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় র্যাব পরিচয়ে এই চক্রটি তার ঘরে এসে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অটোরিকশা ক্রয়ের জন্য আলমারিতে রাখা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছিল।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি শাহ জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এই চক্রের সব সদস্যকে গ্রেফতার করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।