জুমবাংলা ডেস্ক : বছরের শেষ বিকালে শীতের হালকা কুয়াশায় পশ্চিমাকাশে ডুবে গেছে সূর্য। ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে বিদায় নিচ্ছে ২০২০ সাল। সফলতা-ব্যর্থতার হিসাব ভুলে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশা সকলের। বিদায় বেদনার মাঝেই প্রভাতে নতুন সূর্য ওঠার প্রতীক্ষা। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে ২০২১ সালকে স্বাগত জানাতে পালন করা হবে থার্টি ফার্স্ট নাইট। বছরের শেষ রাত উদযাপন উপলক্ষে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে নেমেছে হাজার হাজার পর্যটক।
সাগরকন্যা কুয়াকাটায় শীতের হিমেল গোধুলী লগ্নে বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় জানিয়েছেন পর্যটকরা। পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত কুয়াকাটা সৈকতসহ সকল দর্শনীয় স্থান। পর্যটকদের আতিথেয়তা দিতে ব্যস্ত পর্যটন ব্যবসায়ী আর টুরিস্ট পুলিশ।
প্রতিবছর শীতের আগমনে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি কুয়াকাটা। বিজয় দিবস, বড়দিন, ইংরেজী নববর্ষের ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি সমুদ্রপ্রেমী মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে এ বেলাভূমি। দর্শনীয় স্থান সহ পর্যটনমুখী ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড়।
আবাসিক হোটেল খাঁন প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল খাঁন বলেন, নতুন বছরকে সামনে রেখে আমাদের হোটেলের রুম বুকিংয়ে ছাড় দেয়া হয়েছে। আমাদের সবগুলো রুম বুকিং আছে।
অভিজাত হোটেল সিকদার রিসোর্টের জেনারেল ম্যানেজার ফয়সাল মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের হোটেলের রিজার্ভেশনের ওপর ৫০% ছাড় রয়েছে। বেশিরভাগ রুমই অগ্রিম বুকিং ছিল। পাশাপাশি নতুন বছরকে সামনে রেখে বারবিকিউ পার্টির ব্যবস্থা রয়েছে। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা পর্যটক রাখছি।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে পূর্বদিকে গঙ্গামতি এবং পশ্চিম দিকে লেম্বুর বন পর্যন্ত আমাদের বাহিনী থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।