জুমবাংলা ডেস্ক : মৃত নবজাতককে দাফন করতে গিয়ে নবজাতকের বাবাসহ একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলায় কাভার্ডভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স ও যাত্রীবাহী বাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ওই পাঁচজনসহ অ্যাম্বুলেন্স চালকের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন— ঝালকাঠির বাউকাঠি এলাকার বাসিন্দা ও গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানার চাকরিজীবী আরিফুর রহমান ও তার বোন শিউলী বেগম, আরিফের মা কোহিনুর বেগম, ভাই তারেক রহমান এবং তার সম্বন্ধি নজরুল ইসলাম। নিহত অপরজন দুর্ঘটনায় কবলিত অ্যাম্বুলেন্সের চালক কুমিল্লার আলমগীর হোসেন।
নিহত স্বজনদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন নিহত আরিফের ফুপাতো ভাই রাশেদুল হাসান সুমন। তিনি বলেন, বুধবার নবজাতকের মৃত্যুর পর আরিফের স্ত্রী তিন্নি বেগমকে রেখে বাকি স্বজনরা নবজাতকের মরদেহ দাফনের জন্য ঢাকা থেকে ঝালকাঠির উদ্দেশে রওয়ানা হয়। পথে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উজিরপুরের আঁটিপাড়া এলাকায় এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চার দিন বয়সী নবজাতকের মরদেহ নিয়ে আরিফুর রহমান স্বজনদের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঝালকাঠিতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। আঁটিপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতমুখী কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সঙ্গে সঙ্গেই বরিশাল থেকে চট্টগ্রামগামী মায়া ট্রাভেলসের একটি বাস ওই কাভার্ডভ্যানকে পিছন থেকে ধাক্কা দিলে তিনটি যানবাহনই দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
অন্য দুটি পরিবহনের কেউ হতাহত হওয়ার খবর না পাওয়া গেলেও অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৫ আরোহী ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে আহত আরেকজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ত্রিমুখী এই সংঘর্ষের পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান জানান, মরদেহগুলো উদ্ধার করে হাইওয়ে থানা পুলিশের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। আর যানবাহন তিনটিকে সড়ক থেকে সরিয়ে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত কাভার্ডভ্যান বা বাসের কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান ওসি। সূত্র : বাংলানিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।