জুমবাংলা ডেস্ক : জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও পানি ছড়িয়ে পড়েছে ৫টি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিস্তীর্ণ এলাকায়। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে এখন প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি।
পানি উঠেছে ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা, বাজারঘাট ও ফসলি মাঠে। ডুবে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। বন্যাদুর্গত এলাকায় নৌকা চলাচলে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
এদিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে কোমর পানি। নৌকাযোগে অফিস করছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উপজেলা পর্যায়ে অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সাইদ জানান, গত ৩ দিন তীব্র গতিতে পানি বাড়লেও গত ২৪ ঘণ্টায় পানি স্থিতিশীল অবস্থায় ফলে বন্য পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ৫ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা।
চিনাডুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, ইসলামপুরের যমুনার পাড়ের মানুষ পানির তীব্র স্রোতে টিকতে না পেরে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে তীরে উঠছে। অনেকে আত্বীয়-স্বজন, কেউ কেউ রাস্তার ধারে উঁচু স্থান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে উঠেছে।
জেলা বন্যা ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী দুর্গত এলাকার জন্য ৬০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়ার তথ্য নিশ্চিত করলেও বানভাসিদের দাবি, দুর্গত এলাকাগুলোতে বরাদ্ধকৃত ত্রাণ এখনো পৌঁছায়নি।
ইসলামপুরের চিনাডুলি, বেলগাছা, সাপধরী ও নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন দুর্গত গ্রাম ঘুরে বানভাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বন্যাদুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।