জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার শাহজালাল সার কারখানার গ্যাসের বর্জ্যের কারণে হাওরের মাছ, খামারের হাঁস মরছে। ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে বলে দাবি করছেন মৎস খামারীরা। এদিকে পানি দূষিত হয়ে পড়ায় চরম ঝুঁকিতে ওই এলাকার বাসিন্দারাও। এমন পরিস্থিতিতে সারকারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।
স্থানীয়রা জানান, সার কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে পার্শ্ববর্তী চিলুয়া বিলে নানা প্রজাতির মাছে মড়ক লেগেছে। প্রতিদিনই বোয়াল, সরপুঁটি, বাউশ, কাতলা, আইড়, টেংরাসহ দেশীয় নানা প্রজাতির মাছ মারা যাচ্ছে।
প্রতিদিন চিলুয়া তিনডুবি বিল, চাতল এমনকি এওলা ছড়ায় মরা মাছ ভাসছে। সরেজমিনে দেখা যায়, হতদরিদ্র লোকজন ভেসে ওঠা মরা মাছ কুড়িয়ে বিক্রি করছেন।
বারোহাল গ্রামের শামিম মিয়া বলেন, চিলুয়া বিলের পানি খেয়ে আমার শতাধিক হাঁস মারা গেছে দুদিনে। কচুয়াবহর গ্রামের হেলাল উদ্দিন বলেন, এওলাছড়া দিয়ে সার কারখানার বর্জ্য পানি বিলে এসে পড়ে। ফলে এই পানি কোনো কাজে ব্যবহার করা যায় না। শরীরে ওই পানি লাগলেই লালচে দাগ দেখা দেয় ও জ্বালাপোড়া করে।
চিলুয়া বিলের ইজারাদার ও বারোহাল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নীলমণি বিশ্বাস বলেন, ইজারাকৃত চিলুয়া বিলে দেশীয় প্রজাতির দশ লাখ টাকার পোনা মাছ কয়েক মাস পূর্বে অবমুক্ত করা হয়েছিল। মাছগুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সারকারখানার বর্জ্যের কারণে মাছ মারা যাওয়ায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে। প্রতিদিনই মাছ মরে ভেসে উঠছে। সার কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি বিকল্প কোনো খাল দিয়ে কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নিষ্কাশনের। কিন্তু তারা এতে তেমন কোনো সাড়া দিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে শাহজালাল সার কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এজিএম বাকী বলেন, আমি কারখানায় চলতি মাসে যোগদান করেছি। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি আলাপ করব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।