জুমবাংলা ডেস্ক : চিকিৎসা পেশাজীবীদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি ডা. ইসতিয়াক হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে থানা থেকে প্রত্যারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন চিকিৎসক নেতারা।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ কনফারেন্স কক্ষে জরুরি সভা থেকে তারা এ দাবি জানান।
বিএমএ বরিশাল শাখার সভাপতি ডা. ইসতিয়াক হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. এস এম সরওয়ার, সাবেক অধ্যক্ষ ডা. রনিজৎ খা, বিএমএ’র বরিশাল জেলা শাখার সহ-সভাপতি ডা. সৈয়দ মাকসুমুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. মো. মনিরুজ্জামান শাহিন, প্রফেসর ডা. জহিরুল হক মানিক, ডা. হাওয়া আক্তার জাহান, ডা. ইমরুল কায়েস, ডা. নাজিমুল হক, শেবাচিমের আউটডোর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সৌরভ সুতার, সাধারণ সম্পাদক নূরুন্নবি তুহিন, বিএমএ’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ভিপি ডা. মাসরেফুল ইসলাম সৈকত, অন্তঃবিভাগ চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. আসিক দত্ত ও ডা. সিরিন সাবিহা তন্নি।
সভায় ডা. সৈয়দ মাকসুমুল হক বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বার বুধবার ডা. এম.এস রহমান সুমন নগরীর চাদমারী ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে মানিক কারিকর নামে এক রোগীর অপারেশন করেন। চিকিৎসক সুমন ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের নিয়োগকৃত চিকিৎসক নন। কেবলমাত্র কনসালটেন্ট হিসেবে চেম্বার বা অপারেশন করে থাকেন। এরপরও অপারেশন পরবর্তী জটিলতা সৃষ্টি হলে এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ইসতিয়াক হোসেনের কাছে বিষয়টি রোগী অবহিত করেন। তিনি রোগীর প্রতি মানবিক দিক বিবেচনা করে পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে রোগী কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক প্ররোচিত ও প্রভাবিত হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রিয়াজুল ইসলাম ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে যান। এ সময় মোবাইল ফোনে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও বিএমএ বরিশাল শাখার সভাপতি ডা. মো. ইসতিয়াক হোসেনের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং মামলায় দুই নম্বর আসামি হিসেবে তাকে অন্তর্ভুক্ত করার হুমকি দেন। পরবর্তীতে রোগী পুনরায় সংশ্লিষ্ট সার্জারি বিশেষজ্ঞ কর্তৃক আশ্বস্ত হয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর এফিডেভিটের মাধ্যমে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। তবে মামলাটি প্রত্যাহার না করে ডা. মো. ইসতিয়াক হোসেনকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এ কারণে বরিশালের সর্বস্তরের চিকিৎসক সংক্ষুব্ধ।
বিএমএ’র সাধারণ সম্পদাক প্রফেসর ডা. মো. মনিরুজ্জামান শাহিন জানান, জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসআই রিয়াজুলকে কোতয়ালি থানা থেকে প্রত্যাহার, বিএমএ’র জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং আগামীতে যে কোনো চিকিৎসককে এভাবে হয়রানি না করা হয় তার দাবি জানানো হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণের জন্য আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে চিকিৎসকরা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
চিকিৎসকদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এসআই রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে চিকিৎসকরা যেসব অভিযোগ করেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।