জুমবাংলা ডেস্ক : বরযাত্রী আসছে। কিন্তু বর পৌঁছানোর আগেই কনের বাড়িতে হাজির হয়ে গেলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। বাঁধ সাধলেন বিয়েতে। ফোন করে বরযাত্রীদের আসতে নিষেধ করে দিলেন তিনি। কারণ, পাত্রীর বয়স মাত্র ১৩। ঘটনা পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার।
বুধবার রাতে ইউএনও মোসা. খালেদা খাতুনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পায় কিশোরী।
জানা যায়, বিয়ে ঠিক হওয়া কিশোরী সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয় কাউখালী উপজেলার বাশুরী গ্রামের রতন হালদারের। আজ ভোর ৪টায় ছিল বিয়ে পড়ানোর কথা। আগের দিন সন্ধ্যার পর থেকেই কনের বাড়িতে চলছিল বিয়ের আয়োজন। রাতে বরযাত্রী পৌঁছানোর কথা ছিল কনের বাড়িতে।
এই বাল্য বিয়ের খবর পান ইউএনও। তিনি রাত ১১টার দিকে ট্রলারে করে পৌঁছান ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে। ইউএনও এসেছেন শুনে পালিয়ে যান কিশোরীর বাবা। বাড়িতে থাকা কিশোরীর মাকে বুঝিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন ইউএনও। এরপর বরপক্ষকে ফোন করে বিয়ে বন্ধ করার বিষয় জানিয়ে, আসতে নিষেধ করেন তিনি।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. খালেদা খাতুন জানান, আমি পৌঁছানোর আগেই বিয়ে না হয়ে যায় তাই নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। তবে বিয়ে ভোর ৪টার দিকে হওয়ার কথা থাকায় মেয়েটিকে রক্ষা করতে পেরেছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।