স্পোর্টস ডেস্ক: আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বড় আত্মবিশ্বাসী গলায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেছিলেন, ‘আমরা সব ম্যাচই জিততে চাই।’
বড় কিছুর স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়া বাংলাদেশ দলের কাছে এই চাওয়া ছিল আপামর ভক্তেরও। সেখানেই কিনা বাংলাদেশ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল হার দিয়ে। তাও ‘পুঁচকে’ স্কটল্যান্ডের কাছে।
এই হারে সৌম্য–লিটনদের আত্মবিশ্বাসে তো বড় চিড় ধরেছেই, বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশের যাওয়াটাও বড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। বলতে গেলে বাংলাদেশের সুপার টুয়েলভসে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কঠিন করে দিল এই হার।
এখন বাছাইপর্বের পরের দুটি ম্যাচ বাংলাদেশকে দুর্দান্তভাবে জিততে তো হবেই, সঙ্গে বিরস বদনে চেয়ে থাকতে হবে স্কটল্যান্ড আর ওমানের ‘খারাপ করার’ দিকেও।
বিশ্বকাপের শুরুর দিন গতকাল বাছাইপর্বের বি গ্রুপের চারটি দলই মাঠে নামে। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনিকে বলতে গেলে এক প্রকার উড়িয়েই দিয়েছে স্বাগতিক ওমান। পাপুয়া নিউ গিনির দেওয়া ১২৯ রানের লক্ষ্যে ওমান তাড়া করেছে ১০ উইকেট হাতে রেখেই। তাও ১৩.৪ ওভারে। বিশাল এই জয়ে দুই পয়েন্ট নিয়ে এখন বি গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার চূড়ায় আছে ওমান। ওমানের নেট রানও দুর্দান্ত + ৩.১৩৫। বাংলাদেশকে ৬ রানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে স্কটল্যান্ড। দুই পয়েন্টের সঙ্গে তাদের নেট রান রেট+ ০.৩০০।
বর্তমানে পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশের নাম। পয়েন্টের ঘর তো শূন্য বটেই। বাংলাদেশের নেট রান রেটও ‘মাইনাস’। নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে হারা পাপুয়া নিউ গিনির অবস্থান সবার শেষে।
এখন বাংলাদেশ আগামীকাল ওমানের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতলেই পয়েন্টের ঘরে ভালো অবস্থানে ফিরতে পারবে। শুধু এই ম্যাচ নয় বাংলাদেশের ভাবনায় থাকতে হবে ২১ অক্টোবর পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়েও। এই ম্যাচেও জেতা ছাড়া কোনো পথ খোলা তো নেইই, সঙ্গে নেট রানের অঙ্কটাও ইতিবাচকভাবে বাড়াতে হবে। কেননা তিনটি দলই যদি দুটি করে ম্যাচ জেতে সে ক্ষেত্রে পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে, তখন সামনে আসবে নেট রানের হিসাব। সে জন্য নেট রান স্বাস্থ্যকর রাখা বড় জরুরি বাংলাদেশের। আর এটি হবে কেবল বড় জয়েই।
আর সেটি করতে না পারলে বাংলাদেশের জন্য যে আরও একটি হতাশাজনক অধ্যায় অপেক্ষা করছে তা ভালোই জানেন মাহমুদউল্লাহ। গতকাল ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক তাই বললেন, ‘আগামী ম্যাচগুলোতে যদি একই ভুলগুলো করি, তাহলে ভালো কিছু হবে না খুব সম্ভবত।’
অবশ্য ভুলগুলো দ্রুত শুধরে দারুণ কিছুই করতে চান মাহমুদউল্লাহরা, ‘আমাদের আমাদের দুর্বলতাগুলো নিয়ে আরও বেশি কাজ করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে এসব ভুল যেন সামনের ম্যাচে আর না হয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।