মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের উভাজানী গ্রামের চঞ্চল শিকদার ও তার ছেলে বাঁধন শিকদারের গুমকি আর হামলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী। ঠুনকো বিষয় নিয়ে মারামারি, কোপাকুপি ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিতে অস্থির হয়ে উঠেছে সেখানকার মানুষজন। তাদের এমন কর্মকাণ্ডের শিকার হয়েছেন স্থানীয় মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি থেকে শুরু করে এলাকার অসহায় সাধারণ মানুষ। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এলাকার বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন সময়ে মামলা করলেও থামেনি তাদের অত্যাচার।
জানা যায়, উপজেলার নালী ইউনিয়নের উভাজানী গ্রামের আব্দুল মোতালেবের স্ত্রী রুবিয়া বেগম গত মাসের ৩১ তারিখে মানিকগঞ্জ বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, পূর্ব পরিকল্পনায় ২৭/০৫/২০২১ তারিখে আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ক্ষেত থেকে কাঁচামরিচ ছিড়ে বাড়ি ফেরার সময় চঞ্চলের বাড়ির সামনে আসলে চঞ্চল ও তার ছেলে তাদের পথ অবরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর প্রতিবাদ করায় চঞ্চল ও তার ছেলে বাঁধন শিকদার তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে রুবিয়া বেগমের কাপড় ধরে টানাটানি করে তার শ্লীলতাহানি করেন এবং তার গলায় থাকা ৮আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। বাবা ছেলে মিলে তাদের ৭ মণ মরিচ রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে এবং একপর্যায়ে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসিয়া উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এর আগে, ২০১৯ সালে একই গ্রামের সিকদার পাড়া জামে মসজিদ থেকে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলায় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল হালিম শিকদার নিষেধ করায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে তাদের উপর হামলা করেন চঞ্চল শিকদার, তার ছেলে বাঁধন শিকদার ও ছোট ভাই বুলবুল। এ বিষয়ে ঘিওর থানায় একটি মামলা করা হয় মামলা নং১(১২)১৯। কিন্তু মামলা করেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানায় ভুক্তভোগী হালিম শিকদার। তিনি আরো জানান, আমি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলতে নিষেধ করায় একদিন মাগরিবের নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে আমার ও আমার ছেলের উপরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক নিয়ে আমাদের কুপিয়ে জখম করলে আমরা মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেই।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে গ্রামের অসহায় সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধামকি দিয়ে হয়রানি করে বলে জানায় এলাকাবাসী। একাধিকবার তাদের বিরুদ্ধে গ্রাম্য মাতব্বরা শালিস ডাকলেও সেটাকে পাত্তা না দিয়ে তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাধন শিকদার বলেন, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। ওই মহিলা আগাকে গালাগালি করেছে। এরপর সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। তারাও আমাকে মেরেছে।
এ ব্যাপারে ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলা কোর্ট থেকে এখনো থানায় আসেনি। মামলার কাগজ পেলে তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।