মোঃ সজল আলী, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারী ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অতিরিক্ত টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। জমি মর্গেজ বাতিল করতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। মিলছে না সেই অতিরিক্ত টাকার রশিদ।
জানা যায়, সোহেল রানা ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে জমির দলিল মর্গেজ দেন। লোন পরিশোধ শেষে সেই জমির দলিলের মর্গেজ বাতিল করতে সদর সাব রেজিস্টার অফিসে আবেদন করেন। আবেদন করার পর সাব রেজিস্টার অফিসের অফিস সহকারী ফরিদ হোসেন সোহেল রানার কাছ থেকে ২৬’শ টাকা নিয়ে ৫৬০ টাকা করে মোট ১১২০ টাকার দুইটি রশিদ প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী সোহেল রানা বলেন, আমি জমি মর্গেজ বাতিলের সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা। আমি জমি মর্গেজ বাতিল করতে আমার মামাতো ভাইকে নিয়ে সাব রেজিস্টার অফিসে গেলে অফিস সহকারী ফরিদ হোসেন আমাদের কাছ থেকে ২৬’শ টাকা নিয়ে দুইটি রশিদে মোট ১১২০ টাকার রশিদ দিয়েছে।
এদিকে সাব রেজিস্টার অফিসের অফিস সহকারী ফরিদ হোসেন বলেন, জমি মর্গেজ বাতিল করতে দলিল অনুযায়ী ফির পরিমান কমবেশি হয়। দলিল ইংরেজিতে লেখা থাকলে ৫৪০ টাকা বেশি দিতে হয়। এই অতিরিক্ত ৫৪০ টাকার কথা রশিদে উল্লেখ থাকে না। এর বাইরে কেউ খুশি হয়ে কিছু দিলে আমরা সেটা নেই। তবে আমি সোহেল রানার কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি।
এ বিষয়ে জেলা রেজিস্টার গোলাম মাহবুব বলেন, অফিস সহকারী তো কোন টাকা লেনদেন করতে পারে না। আমি তার টাকা লেনদেনে বিষয়ে জানিনা। যদি সে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।