জুমবাংলা ডেস্ক : মিরপুর আদর্শ স্কুলের মাহিয়া মাহি নামে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গলায় ফাঁস দিয়ে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ৫টার দিকে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ‘বি’ ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ৩৯ নম্বর বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। চাচীর বাড়িতে থাকতেন বলে জানা গেছে।
অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ৮টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য বর্তমানে তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর আদর্শ স্কুলের শিক্ষিকা মোরশেদা বেগম।
তিনি জানান, মাহিয়া মাহি আমার স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তার রোল নং-১০। জন্মের পরই তার মা মারা যায়। বাবা একজন বাক প্রতিবন্ধী। ছোট থেকেই সে তার চাচীর বাড়িতে থাকত।
ওই শিক্ষিকা অভিযোগ করে বলেন, মাহিকে মেরে ফেলা হয়েছে। মারার পর গলায় ফাঁস দিয়ে নাটক সাজানো হয়েছে। তার চাচীর বাড়ির সব কাজ তাকে দিয়ে করাতো। বাড়ির কাজ-কাম না করার কারণে মাহিকে মারধর করা হয়। এরপর তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
এদিকে নিহত স্কুলছাত্রীর চাচা আতাউর রহমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, মা মারা যাওয়ার পর থেকেই মাহি আমার কাছে থাকে। বিকেলে যখন সবাই বাসার বাইরে ছিল তখন নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে দেয় মাহি। কিছুক্ষণ পর তার চাচি বাসায় এসে দরজা খুলে ডাকাডাকি করলে সে কোনো সাড়াশব্দ করেনি। পরে দারোয়ানকে দিয়ে রুমের দরজা ভেঙে ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মাহিকে দেখতে পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়।
মাহির স্বজনরা আরও জানান, মাহি সারাদিন বাসার সবার সঙ্গে কথা বলেছে। তখনও তার মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করা যায়নি। কী কারণে মাহি আত্মহত্যা করেছে তা অনুমান করতে পারছেন না স্বজনরা।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্বজনরা দাবি করছে সে গলায় ফাঁস দিয়েছে। তবে বিস্তারিত তদন্তের জন্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।