স্পোর্টস ডেস্ক : টাইগার সুপারস্টার মুশফিক’কে বলা হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ। বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচেই জয় এনে দিয়েছেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিংটা যুঁতসুই হচ্ছে না মিস্টার ডিপেন্ডেবলের। তবুও ২০১৯ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া মুশফিককে রাখা হয়েছে বিশ্বকাপ দলে। এদিকে ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় চারে খেললেও ওমানের বিপক্ষে দেখা গেল একেবারে ভিন্ন চিত্র। যেখানে আটে ব্যাট করেছেন মুশফিক। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো আটে ব্যাট করতে দেখা গেছে তাঁকে।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মুশফিক এখনো পুরোদমে ফর্মে ফিরেননি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিয়মিত পজিশন চারে নামলেও মন্থর ব্যাটিং করতে দেখা গেছে তাকে। ৩৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যদিও ঐ রক্ষা হয়নি বাংলাদেশের। স্কটিশদের কাছে হারের পর বেশ চটেছিলেন বিসিবি প্রধান।
টিম ম্যানেজমেন্টকে জানান দলের অবস্থা অনুযায়ী যেন ব্যাটিং লাইন-আপ সাজানো হয়। পরের ম্যাচের তার প্রতিফলক ঘটেছে। ওমানের বিপক্ষে আট থেকে তিনে আনা হয়েছে শেখ মেহেদীকে। পাঁচে মাহমুদউল্লাহ ব্যাট করলেও এদিন নেমেছেন নুরুল হাসান সোহান। নিচের সারীর ব্যাটাররা ওপরে উঠায় নিচে খেলতে হয়েছে মুশফিককে। সাকিব মনে করেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এসব সাধারণ চর্চাই কেবল।
পরিস্থিতি অনুযায়ী কোচ-অধিনায়ক যেটা ভালো মনে করেছেন তাদেরকেই পাঠানো হয়েছে। যারা ঐ পরিস্থিতি সামলানোর যোগ্য। একটা সময় ছিল যখন মনে হয়েছে ১৭০-১৮০ রানও করে ফেলতে পারতাম যদি সবার ব্যাটিং ক্লিক করত। সে কারণেই অনেককে পরিবর্তন করে পাঠানো হয়েছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন হয়েই থাকে। যখন একটা দল ১০-১১ ওভারে ১-২ উইকেট হারায় তখন ৬-৭ নম্বর ব্যাটসম্যান স্বাভাবিকভাবেই ওপরের দিকে চলে আসে। টি-টোয়েন্টিতে এটা খুবই সাধারণ চর্চা।
ব্যাটিং পজিশনে বড় অদল-বদল এনেও তেমন একটা পরিবর্তন চোখে পড়েনি। পাঁচে ব্যাট করা নুরুল করেছেন মাত্র ৩ রান। অন্যদিকে চার থেকে আটে ব্যাট করা মুশফিক করেছেন মাত্র ৬ রান। তবে সাকিব মনে করেন দল জিতলে এই ধরণের সিদ্ধান্ত সবাই সমর্থন করে।
ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেলেও মুশফিকের এই ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই ভালো চোখে দেখছেন না।
কিন্তু তার আগেই এ বিষয়ে কথা বললেন ম্যাচ জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মাহমুদউল্লাহ-মুশফিককে সাতে-আটে ব্যাট করানোকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের খুবই সাধারণ চর্চা বলে উল্লেখ করেছেন।
ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বললেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী কোচ-অধিনায়ক যেটা ভালো মনে করেছেন তাদেরকেই পাঠানো হয়েছে। যারা ঐ পরিস্থিতি সামলানোর যোগ্য। একটা সময় ছিল যখন মনে হয়েছে ১৭০-১৮০ রানও করে ফেলতে পারতাম, যদি সবার ব্যাটিং ক্লিক করত। সে কারণেই অনেককে পরিবর্তন করে পাঠানো হয়েছে।‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন হয়েই থাকে। যখন একটা দল ১০-১১ ওভারে ১-২ উইকেট হারায় তখন ৬-৭ নম্বর ব্যাটসম্যান স্বাভাবিকভাবেই ওপরের দিকে চলে আসে। টি-টোয়েন্টিতে এটা খুবই সাধারণ চর্চা।’
দল সফল হলে এসব সিদ্ধান্তে সবাই প্রশংসা করে, দল হারলে দোষারোপ করে। অনেক সময়ই কোচ-অধিনায়ককে এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সতীর্থরা সবাই সেটাকে সমর্থন দেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।