জুমবাংলা ডেস্ক : মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুর রাজ্জাক রাজার বিরুদ্ধে হরিরামপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ঘটনার বিবরণ দিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে এ ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দেওয়া স্মারকলিপি অনুযায়ী জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের বাসভবনে সোমবার বিকেলে এক গ্রাম্য সালিসের আয়োজন করা হয়।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র সালিসের এক পর্যায়ে হরিরামপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সোরহাবকে (৭০) কিল, ঘুষি ও কাঠের চেয়ার দিয়ে মারধর করেন।
এতে মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম গুরুতরভাবে আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই ওই সালিসে উপস্থিত ছিলেন।
এসব বিষয়ে জানতে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, গ্রাম্য সালিসে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে যুবলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক রাজা মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলামকে মারধর করেন। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। এই ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের বিষয়টি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করে যুবলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক রাজা বলেন, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কবলে পড়েছেন। বিষয়টি মিমাংসার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। খুব শিগগিরই বিষয়টি সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।
মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের বিষয়ে স্মারকলিপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।