জুমবাংলা ডেস্ক : স্বামী শফিকুলের সঙ্গে ছোট বোন জান্নাতুল ইসলামের (২০) অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ ছিল মেহজাবিন ইসলাম মুনের। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার ঝগড়া ও তর্ক-বিতর্কও হয় ছোট বোনের সঙ্গে। এমনকি এ ঘটনার প্রাক্কালে কারাগারেও যেতে হয়েছিল জান্নাতুলকে।
রাজধানীর কদমতলীতে মা, বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় মেহজাবিন ইসলাম মুন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামের নামে মামলা হয়েছে। এ নিয়ে একের পর এক রহস্য উদঘাটন হচ্ছে।
মেহজাবিনের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর সঙ্গে বোনের সম্পর্ক নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ ধরেদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল মেহজাবিনের। এর জেরে শুক্রবার রাতে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয় সবাইকে অচেতন করেন। পরে মা, বাবা ও বোনের হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। তবে স্বামী ও মেয়েকে অচেতন করলেও হত্যা করেননি।
জানা গেছে, মেহজাবীনের স্বামী শফিক একজন খুনি ও একাধিক মামলার আসামি। ৫ বছর আগে কেরানীগঞ্জে একজনকে হত্যা করে। সে মামলা থেকে রেহাই পেতে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে শফিকুল। কিন্তু শেষমেষ সঙ্কট দেখা দিলে মেহজাবিনকে টাকার জন্য চাপ দিতো। এনিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া চলতো।
মেহজাবিনের খালা ইয়াসমিন বলেন, শফিক তার শালি জান্নাতুল ইসলামের সঙ্গে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করতো। ঘটনা আমার নিহত বোন মৌসুমী জানতে পেরে জামাতা শফিককে বাধা দিতেন। এ নিয়ে আমার বোনের সঙ্গে শফিকের প্রায় ঝগড়া হতো।
ঘাতকের খালা বলেন, শফিকের সঙ্গে তার শ্বাশুড়ি পেরে উঠে ছোট মেয়ে জান্নাতুলকে কারাগারে দিয়ে দেন। শফিক তদবির করে ৫ মাস পর তাকে কারাগার থেকে বের করে নিয়ে এসে আবার তার সঙ্গে অনৈতিক কাজ করেন।
কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন বলেন, মেহজাবিনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাকে সব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।