ভ্রমণপ্রেমীরা কনকনে শীতের মাঝেই খুঁজে নিচ্ছেন সময়োপযোগী গন্তব্য। এমন সময়ে বেড়াতে যেতে পারেন এই ৪টি চমৎকার স্থানে। সামনেই কনকনে শীত পড়তে যাচ্ছে। ভ্রমণপ্রেমীরা এর মধ্যেই খুঁজে নিচ্ছেন সময়োপযোগী গন্তব্য। কারণ, শীতকে বলা হয়ে থাকে ভ্রমণের মৌসুম। তাই হাল ফ্যাশনের পাঠকদের জন্য রইল এই কনকনে শীতে দারুণ কিছু ভ্রমণের স্থানের সন্ধান।
টিলাগাঁও ইকো ভিলেজ
গ্রামীণ প্রকৃতির আবহে তৈরি এই রিসোর্টের সবকিছুতেই পাওয়া যাবে মাটির ছোঁয়া। এই রিসোর্টে রয়েছে পাঁচটি মাটির ঘর, চারটি অত্যাধুনিক এসি ভিলা আর একটি প্রাইভেট পুল ভিলা। এ ছাড়া আছে একটি কমন সুইমিংপুল ও একটি লেক ভিউ ওপেন রেস্টুরেন্ট। এখানে মাড হাউসের এক রাতের ভাড়া ৫ হাজার ৫০০ টাকা, এসি ভিলা ৭ হাজার টাকা আর প্রাইভেট পুল ভিলা ১১ হাজার টাকা। গ্রামীণ আবহে সময় কাটাতে চাইলে টিলাগাঁও হতে পারে আপনার এই শীতের গন্তব্য।
শ্রীমঙ্গলের সুইস ভ্যালি রিসোর্ট
সুইস ভ্যালি রিসোর্ট শমসেরনগরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটির পাশে অবস্থিত সবুজের ছায়া ঘেরা একটি চমৎকার রিসোর্ট। গ্রামীণ আবহে তৈরি এই রিসোর্ট গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব সব উপাদান দিয়ে। দুজনের জন্য নন এসি রুম ২ হাজার ৫০০ টাকা আর এসি রুম ৩ হাজার ৭০০ টাকা। এ ছাড়া ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে সুইস ভ্যালি রিসোর্টে।
গাজীপুরের ছুটি রিসোর্ট
গাজীপুরের জয়দেবপুরে সুকন্দি গ্রামের ৫০ বিঘা জমি জুড়ে ছুটি রিসোর্ট। একই সঙ্গে ছনের ঘরে থাকা আর সুইমিংপুলে জলকেলি করার অনন্য অনুভূতি পাবেন আপনি এখানে। রয়েছে কনফারেন্স রুম, রেস্তোরাঁ, বার্ড হাউস, নার্সারি, ভেষজ বাগান, কিডস জোন। বড়দেরও সব খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। ৭৫০০ থেকে শুরু করে ১৮০০০ টাকার বিভিন্ন প্যাকেজ আছে এখানে। এই শীতে পরিবার–পরিজন নিয়ে স্বস্তির সময় কাটাতে পারেন ছুটি রিসোর্টে।
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা রিসোর্ট
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় ২০০৮ সালে এটি গড়ে ওঠে। সবুজ বনের মধ্যে গ্রামীণ পরিবেশ ছেলেবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দেবে আপনাকে। এখানে ভিআইপি এসি স্যুট, ডিলাক্স স্যুট, এসি রুম, নন এসি রুম, রেস্টুরেন্ট, পিকনিক স্পট, জাদুঘর, জিম, সওনা সেন্টার, সুইমিংপুল, বেকারি, বার আর ডিস্কোসহ সব আধুনিক সুযোগ–সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া টেনিস, ফুটবল, ক্রিকেট, টেবিল টেনিস আর ব্যাডমিন্টন খেলার সুব্যবস্থা রয়েছে।
রয়েছে বাচ্চাদের জন্য কিডস জোন, হর্স রাইডিং, বোটিংয়ের ব্যবস্থা। ৫০ থেকে ১৫০ জনের বড় গ্রুপ আসতে পারে এখানে। রাতে থাকার জন্য রয়েছে বিভিন্ন প্যাকেজ। খরচ পড়বে ৩ থেকে ১২ হাজার পর্যন্ত। এখানে ভারতীয়, চিনা, থাই, কন্টিনেন্টাল—সব ধরনের খাবার পাওয়া যায়। রিসোর্টের নিজস্ব পরিবহনে করটিয়া জমিদারবাড়ি, মধুপুর গড় ও ধনবাড়ি ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।