জুমবাংলা ডেস্ক : অবশেষে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দুইটি মামলা হলো হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে কেনাকাটা দুর্নীতির ঘটনায়। প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মৎসাতের অভিযোগ এনে মামলা দু’টিতে আসামী করা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ মোঃ আবু সুফিয়ান ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আফসানা ইসলাম কাকলী এবং পুনম ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী এসএম নজরুল ইসলাম নতুনকে।
সোমবার দুপুরে সংস্থার গণসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য মামলা দায়েরের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত রোববার দায়ের করা মামলাগুলোতে বাদী হয়েছেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক মোঃ সহিদুর রহমান ও মোঃ ফেরদৌস রহমান।
মামলার একটিতে বলা হয়, অধ্যক্ষ আবু সুফিয়ান ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী কাকলী একে অপরের যোগসাজসে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে উচ্চ মূল্য দেখিয়ে বইপত্র ক্রয় করে সরকারের ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন।
অপর মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে- পুনম ট্রেড ইন্টারন্যশনালের সত্ত্বাধিকারী নতুন ও অধ্যক্ষ সুফিয়ান মিলে উচ্চমূল্যে যন্ত্রপাতি ক্রয় দেখিয়ে আত্মসাত করেন সরকারের ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
প্রসঙ্গত, গত বছর হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের বইপত্র ও মালামাল ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে প্রতিষ্ঠানটিতে। ভ্যাট ও আয়কর খাতে সরকারি কোষাগারে জমা হয় এক কোটি ৬১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৪৮ টাকা। মালামাল ক্রয় বাবদ ব্যয় দেখানো হয় ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ১০৯ টাকা। কিন্তু বাস্তবে ওই মালামালের মূল্য পাঁচ কোটি টাকার বেশি নয়। বাকি টাকার পুরোটাই ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে; এমন অভিযোগ এনে দুদকের ১০৬ হটলাইনে অভিযোগ দেয়া হয়। এরপর গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে এনিয়ে তদন্তে নামে দুদক।
পরে গত ৩ ডিসেম্বর সরেজমিনে এসে দীর্ঘক্ষণ ধরে ক্রয় করা জিনিসপত্র খতিয়ে দেখেন দুদক কর্মকর্তারা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদক হবিগঞ্জের সহকারী পরিচালক এরশাদ মিয়া। এ সময় সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল মালেক, উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মোতালেব ও কনস্টেবল মো.ছদরুল আমীনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।