জুমবাংলা ডেস্ক : শেরপুর পৌর সভার ৫ নং ওয়ার্ডের চাপাতলী মধ্যপাড়া মহল্লার রিক্সা চালক লিটনের স্ত্রী আসমা বেগম নামে এক ব্র্যাককর্মী ত্রাণের জন্য ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুদ রানার কাছে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে ওই মহিলার বিরুদ্ধে উল্টো মোবাইল চুরির অভিযোগ দিয়েছে পৌর কাউন্সিলর মাসুদ রানা।
এলাকাবাসী ও অভিযোগকারী আসমা বেগম জানায়, আসমার স্বামী শহরে রিক্সা চালায় এবং সে পার্শ্ববর্তী ব্র্যাকের সেলাইলে কাজ করে। সম্প্রতি করোনা সতর্কতার কারণে তার কাজ এবং তার স্বামীর রিক্সা চালানো কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে বেশ কয়েকদিন যাবত খাদ্য সংকটে থাকায় বিভিন্ন লোকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কিছু না পেয়ে অবশেষে সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে খরমপুরস্থ ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুদ রানার বাড়িতে যায় ত্রাণের জন্য। এসময় বাড়ির ভিতর থেকে প্রথতে রানার ভাই জুয়েল এসে আসমাকে কাউন্সিলর নেই বলে চলে যেতে বলে। কিন্তু আসমা অনেক অনুরোধ করতে থাকে কিছু চালের জন্য। কাউন্সিলর নিজে এসে বলেন, আমরা কোন ত্রাণ পাইনি তাই আমার পক্ষে কিছু দেয়া সম্ভব নয়। এক পর্যায়ে আসমা রানাকে গালমন্দ শুরু করলে রানা ও তার ভাই আসমাকে মারধর করে টেনে হিছড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এদিকে, এ অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর রানা জানান, মহিলাকে মারপিট তো দুরের কথা গায়েই হাত দেয়া হয়নি। সে আমার বাড়িতে ঢুকে প্রথমে ত্রাণ চেয়ে না পেয়ে আমার ঘরের জানালা দিয়ে বিছানার উপর রাখা দুটি মোবাইল চুরি করে নিয়ে যাবার সময় আমি দেখে ফেলি এবং তখন তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেই।
এ ব্যপারে শহর ফাঁড়ি’র এসআই ফজলু জানায়, আমি অন্য একটি কাজ শেষে ওই পথে ফাঁড়িতে যাবার সময় ওই মহিলা আমার কাছে কান্নাকাটি করে বিচার দিলে কাউন্সিলের সাথে এবং প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারি মহিলাটি ত্রাণ নিতে এসে না পেয়ে কাউন্সিলরকে গালিগালাজ করে। পরে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কিন্তু মোবাইল চুরি ব্যাপারে কাউন্সিলর কোন অভিযোগ করেনি। এছাড়া এব্যপারে লিখিত কোন অভিযোগও দেয়া হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।