জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের ঘরে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু এটি কারো কারো বিশ্বাস হচ্ছিল না। গতকাল সোমবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে সাহায্য চেয়ে ফোন আসে উপজেলা প্রশাসনের হটলাইন নম্বরে। পরক্ষণেই সাহায্য প্রার্থীদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হয় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়োজিত আকাশ আহমেদের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবকরা।
তখনই সাহায্য প্রার্থীদের চোখ চড়ক গাছ। যারা ফোন করেন তারা আসলে দরিদ্র নন। তারা খাদ্যসামগ্রী গ্রহণ না করে জানায়, খাদ্যসামগ্রী ঘরে পৌঁছে দেওয়ার যে ঘোষণা তার সত্যতা যাচাই করেতেই মূলত ফোন দেওয়া হয়। আর এতেই বাধে বিপত্তি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ত্রাণ কাজে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম নাসরিন বেগম সেতু ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের ধোবারুহী গ্রামের হারুন অর রশিদকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও মো. আবুল বাশারকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেন। পরে তারা নগদ অর্থ পরিশোধ করে কারাদণ্ড থেকে রক্ষা পান।
এ সময় তারা জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণার সত্যতা ও প্রশাসন সঠিক দায়িত্ব পালন করছে কিনা তা যাচাই করতেই ফোন দেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই যে সাহায্য পৌঁছে যাবে তারা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম বলেন, এই চক্রটি মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ও ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত করে। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।