স্পোর্টস ডেস্ক : নেপালের স্বন্দীপ লামিচানে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য বিসিবিকে আবেদনপত্র দিতে চেয়েছে।চলুন জেনে নেয়া যাক সন্দীপ লামাচীনে সম্পর্কে –
বিশ্বকাপ নিয়ে ব্যস্ত ছিল সারা ক্রিকেট বিশ্ব। সবার চোখ তখন বিশ্বকাপের দিকে। নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে প্রস্তুত এই লড়াইয়ে শ্রেষ্ঠতর খেতাব অর্জনে।
ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই বাংলাদেশ দল এখন শক্তিশালী। নিজেদের দিনে হারিয়ে দিতে পারে ক্রিকেটের সেরা সেরা পরাশক্তিদের। তবে এক দিক থেকে দুর্বলতা রয়েছে লাল-সবুজ জার্সি ধারীদের। তা হলো, লেগ স্পিন। বাংলাদেশ দলে লেগ স্পিনারের অভাব প্রথম থেকেই। এই জায়গাটিতে এখনো যোগ্য টাইগারের দেখা পায়নি দলটি।
জাতীয় দলের এমন সঙ্কটে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলার ইচ্ছে পোষণ করল নেপাল জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার সন্দ্বীপ লামিচানে। ২০০০ সালের ২ আগস্ট জন্ম নেয়া এই ডানহাতি লেগ স্পিনার হয়ে উঠতে পারে টাইগার দলের ভরসার নামও। যদিও তার প্রস্তাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। এই নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক মতামত রয়েছে দেশীয় ক্রিকেট ভক্তদের।কিন্তু বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন এই তথ্যটি উড়িয়ে দিয়েছেন নেপালি ক্রিকেটার স্বন্দীপ লামাচিনে, জানিয়েছেন এমন কোন সম্ভাবনা নেই দেশের হয়ে খেলবেন তিনি।
২০০০ সালের ২ আগস্ট নেপালের স্যাঙ্জা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন সন্দ্বীপ লামিচানে। ক্রিকেটে নেপালের উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো সফলতা নেই। ১৯৯৬ সালে আইসিসির সহযোগী সদস্য হওয়ার পর ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি স্ট্যাটাস পায় নেপাল। তবে তা খুব বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি তারা।
২০১৫ সালের জুলাইতে টি-টুয়েন্টি স্ট্যাটাস হারায় নেপাল। এই সময়ের মধ্যে ১১টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলে তিনটিতে জয় পায় নেপাল। আফগানিস্তান, হংকং এবং নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় তুলে নেয় এভারেস্টের দেশ নেপাল। নেপালের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার যোগ্যতা না থাকার দরুন প্রতিভাবান লেগস্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানের এখনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি।
বর্তমানে তিনি নামিবিয়ায় ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় বিভাগের ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হয়তো তার হাত ধরেই নেপাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
নেপালের তরুণ ক্রিকেটার স্বন্দীপ লামিছানের স্পিন বিষে প্রতিনিয়ত নীল হচ্ছে বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানরা। তাই নজর কেড়েছেন বিশ্বজুড়ে। এমন চোখ ধাঁধানো সফলতার কারণে দলে ভোড়াতে মরিয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক দলগুলো।
সন্দ্বীপ লামিচানে প্রথম শিরোনামে আসেন ২০১৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মধ্য দিয়ে। টুর্নামেন্টে ছয় ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক সহ ২৭ রানে পাঁচ উইকেট শিকার করেছিলেন।
তার লেগস্পিন এবং গুগলি দেখে অনেকেই তার সাথে শেন ওয়ার্নের তুলনা করেছিলেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে তার গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে তার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাজমুল হাসান শান্ত। শেষপর্যন্ত অবশ্য ম্যাচে ছয় উইকেটে পরাজিত হয় নেপাল।
তার দুর্দান্ত পারফরমেন্সে নেপাল অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অষ্টম স্থান লাভ করে। দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউ জিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে এবং আফগানিস্তানের মতো দলগুলোকে পেছনে ফেলে অষ্টম স্থান লাভ করেছিলো নেপাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।