বিশ্বকাপে এর আগে ‘ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ নির্ধারণ হত পয়েন্ট বিবেচনায়। সেই জন্য ফাইনালের আগেই বোঝা যেত কে বা কার হাতে উঠছে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। তবে এবার আর সে নিয়ম ছিল না।
দ্বাদশ বিশ্বকাপে ছিল বিচারক প্যানেল। যেখানে ব্রডকাস্টার থেকে তিন জন, এক জন সাংবাদিক এবং আইসিসির একজন প্রতিনিধি ছিল। সব মিলিয়ে তাই ফাইনাল পর্যন্ত অপেক্ষা। সে জন্যই বোঝার উপায় নেই কে হচ্ছে ‘ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট’। অর্থাৎ কার হাতে উঠছে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ছিলেন সবার আগে। ব্যাটিং গড় কিংবা নিঁখাত অলরাউন্ডারিং নৈপুণ্যতা দেখিয়ে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন, ইংল্যান্ডের জো রুট এবং ভারতের রোহিত শর্মা থেকে এগিয়ে ছিলেন তিনি। আসরে ব্যাট হাতে ৬০৬ রান এবং ১১ উইকেট তোলা বলে দেয় কেমন পারফর্ম করেছেন তিনি।
কিন্তু সব আশার গুড়ে বালি করে দিয়ে আইসিসি থেকে জানিয়ে দেওয়া হলো, অসাধারণ ব্যাটিং আর ফাইনাল অবধি নিয়ে যাওয়া অধিনায়কত্ব প্রদর্শন করে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
এ নিয়ে বাংলাদেশি সমর্থকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কারণ, ব্যাটিং পারফরমেন্সের হিসেবে উইলিয়ামসন সাকিবের পেছনে, আর বোলিং নৈপুণ্য ছিল সাকিবের বাড়তি পাওনা। তাই কপিল দেবসহ বিশ্বের কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা সাকিবকেই প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট বিবেচনা করেছিলেন।
সাকিবের ৬০৬ রানের বিপরীতে উইলিয়ামসনের রান ৫৭৮। সাকিবের ১১ উইকেটের বিপরীতে কেন একেবারেই শূন্য।
তবে আইসিসির যুক্তি, কেন আসরে যতগুলো ইনিংস খেলেছেন তার বেশিরভাগ ম্যাচেই দল বিপদমুক্ত হয়েছে। তাছাড়া তার দল ফাইনালে উঠেছে।
মূলত বিশ্বকাপের সেমি না খেলতে পারার কারণেই কপাল পুড়েছে বাংলাদেশের সাকিবের। আসরে তার ৬০৬ রান এবং ১১ উইকেট তবে কি বৃথাই গেল?
আরও পড়ুন: ভুলের অনুশোচনায় মাঠে গড়াগড়ি খেয়ে কাঁদলেন গাপটিল
আরও পড়ুন: ম্যান অফ দ্যা ফাইনাল হয়েও যাকে ক্রেডিট দিলেন স্টোকস
আরও পড়ুন: ফাইনালের মাঠে কে এই স্বল্পবসনা নারী?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।