জুমবাংলা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, আমরা কার জন্য দল করছি, শেখ হাসিনার জন্য। আমাদের কী অবদান আছে, আমাদের অবদান খুব কম। তারপরেও কিছুটা আছে। এই নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে গিয়ে ৪৯ জন মানুষকে নিজের হাতে দাফন করেছি। যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দাবিতে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে জীবন দিয়েছে তারা আমাদের মাঝে নেই। তাই আমাদের দায়িত্ব বেশি। এই নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই নারায়ণগঞ্জকে আমাদের পূর্ব পুরুষরা আওয়ামী লীগের দূর্গ করেছিলেন। আমরা তাদের পরবর্তী প্রজন্ম হিসেবে চেষ্টা করেছি ধরে রাখার জন্য। এখন জানি কোথায় একটু গন্ডগোল, সবাই স্বার্থের চিন্তা করি আমরা।
সোমবার বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়াার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে তিনি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি উপজেলা নির্বাচনের জন্য আসিনি। আমি এসেছি আপনাদের কাছে একটা মেসেজ দিতে। সামনে যে সময়টা আসছে এটা আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার সময়। এই কঠিন পরীক্ষা কার সাথে কার, শেখ হাসিনা মানে কী। শেখ হাসিনা মানে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা মানে উন্নয়ন, অসাম্প্রদায়িকতা। শেখ হাসিনা মানে আমাদের সকলের সন্তানদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আমাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করে। আজকে আমি শামীম মারা গেলে কিছু হবে না, অনেকে খুশিও হতে পারে। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে একসাথে হতে হবে। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি সবসময় আপনাদের পাশে থাকবো। কিন্তু পরিবারের মধ্যে যদি মনমালিন্য থাকে সে পরিবার সুখী থাকে না।
তিনি আরও বলেন, আমি সকলকে বলেছি আর না, এবার এক হতে হবে। আকাশে শকুন উড়ছে, এই শকুন কারা। এই শকুন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। এই শকুন হচ্ছে যারা গ্রেনেড হামলা করে, যারা নেত্রীকে হত্যা করতে চায় বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে ধ্বংস করতে চায়। এই শকুনের থাবা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তার জন্য সবচেয়ে বড় পথ ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম। আমি যখন কানাডা ছিলাম। আমি টেলিফোনে সবার সাথে আলাপ করে কীভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে তা নির্দেশনা দিয়েছিলাম। আপনারা তা পালন করেছিলেন। আজকে নতুন প্রজন্ম সামনে এসেছে। শক্তি বৃদ্ধি হওয়ার কথা, কমার কথা না। কিন্তু আমদের যদি বিভেদ থাকে তাহলে শক্তি কমে যাবে।
শামীম ওসমান বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। আমি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমি শোক প্রকাশ করছি আমাদের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ ভাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। মোশাররফ ভাইয়ের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
তিনি বলেন, আমি একটা কথা বলতে চাই। প্রথমেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ দিতে চাই। যারা যারা প্রার্থী হয়েছিলেন আমি বলেছিলাম শামসু ভাই যদি আসে আমি তার কথা বলবো। আমি এই কারণে খুশি হইনি যে শামসু ভাই নমিনেশন পেয়েছে, আমি এই কারণে খুশি হয়েছি যে, বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় যখন ত্যাগী নেতাকর্মীরা মূল্যায়িত হয় আমার কাছে মনে হয় আমরা সবাই মূল্যায়িত হয়েছি। এজন্য জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনাকে আমাদের সবার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। আমি আপনাদের অনুরোধ করি, আজকে থেকে সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ হবে একটা পরিবার। শামসুল ইসলাম ভূইয়া শুধু একজন ত্যাগী মানুষ না, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং সাচ্চা মানুষ। তার স্ত্রী মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।
তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের কাছে হাতজোড় করে ভিক্ষা চাই, শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে। আমরা সবাই এক থাকবো। আমরা জানি সামনে কী হতে যাচ্ছে। এই আঘাতকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। তাই আপনারা সকলে দয়া করে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।