জুমবাংলা ডেস্ক : কেউ এসেছেন ঢাকা থেকে, কেউ রাজশাহী, আবার কেউ কুমিল্লা থেকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তবৃন্দ সিলেটে ছুটে এসেছেন ‘স্বপ্নের নায়কের’ মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে। ১৯৯৬ সালের এইদিনে ভক্তবৃন্দকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান সিলেটের সন্তান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। তার ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো ৬ সেপ্টেম্বর।
এবারে করোনা পরিস্থিতিতে সালমান শাহ’র মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নগরীর দাড়িয়াপাড়াস্থ ‘সালমাহ শাহ ভবনে’ কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। তবে শাহজালাল দরগাহ মাজার মসজিদে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা সিলেটে ছুটে আসেন সালমান শাহ’র শত শত নারী-পুরুষ ভক্ত। সকাল থেকে শাহজালাল মাজার কবরস্থানে তার কবরে পুষ্পশ্রদ্ধা নিবেদন এবং দিনব্যাপী ‘স্বপ্নের নায়কের’ দাড়িয়াপাড়াস্থ বাড়িতে ঘুরে বেড়ান ভক্তরা।
এসময় কথা হয় রাজশাহী থেকে আসা সালমানভক্ত নিহাত চৌধুরীর সঙ্গে। ৪০ বছর বয়সি এই নারী চোখের জল ছেড়ে দিয়ে বলেন, প্রিয় নায়কের সঙ্গে নিয়তির এমন নিষ্ঠুর খেলা আজ পর্যন্ত মেনে নিতে পারছি না। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আত্মহত্যা নয়, সালমান শাহকে হত্যাই করা হয়েছে। আমরা মনেপ্রাণে চাই, এই মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটন হোক।
‘ঢাকা সালমান ভক্ত ঐক্যজোট’র ব্যানারে ঢাকা থেকে আসা ভক্তদলের সালমান জিসান বললেন, এটা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয় যে- সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। প্রিয় নায়কের লাশ উদ্ধারে প্রক্রিয়াসহ অনেক আলামতেই বুঝা যায়- তাকে হত্যা করা হয়েছে। বিদেশে থাকা স্ত্রী সামিরা ও তার বাবাকে দেশে নিয়ে এসে জিজ্ঞসাবাদ করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
রাজশাহী থেকে আসা আরেক ভক্ত কেঁদে কেঁদে বললেন- ‘আমরা ভালো নেই। আপনি আকাশের ঠিকানায় ভালো থাকেন, প্রাণের প্রিয় স্বপ্নের নায়ক।’
এসময় সালমান শাহের মামা আলমগীর কুমকুম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এবারে দাড়িয়াপাড়াস্থ সালমাহ শাহ ভবনে কোনো অনুষ্ঠান করা হয়নি। তবে দরগাহ মাজারে জুহরের নামাজের পরে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা পরিবারে সদস্যরা তো দুই যুগ ধরেই মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু আমরা অসহায়। সুবিচার পাচ্ছি না। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস- সামিরা ও তার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।