জুমবাংলা ডেস্ক: ঝালকাঠির রাজাপুরে ‘ধর্ষণের’ ফলে একটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন স্বামী পরিত্যক্তা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক নারী। এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে শিশুটির বাবার পরিচয় খুঁজতে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে মামলাটি দায়ের করেছেন ওই নারীর বড় বোন। এর আগে, গত ৩ জুন সকালে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুত্রসন্তানের জন্ম দেন ওই নারী।
মামলার আসামিরা হলেন পূর্ব রাজাপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে মো. রাহাত হোসেন (৩২), উত্তর সাউথপুর গ্রামের আবদুল লতিফ হাওলাদারের ছেলে মানিক হাওলাদার (২৮), পূর্ব রাজাপুর গ্রামের বেল্লাল খার ছেলে মো. তারেক খা (২৮), চুনপুরী গ্রামের মো. আরিফ (৩০) ও আলী আহম্মদের ছেলে মো. নাসির (৪০)।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, তার ছোট বোন (৩০) একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ১৫ বছর আগে তার বিয়ে হয়। ১২ বছর বয়সী তার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। আট বছর আগে স্বামী তাকে তালাক দিলে ভিক্ষা করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। বোনের বাড়ির পাশে একটি ঘরে তিনি বসবাস করেন। তার ঘরে অনেক লোকের যাতায়াত ছিল। গত ২ জুন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াসমিন মুন্নির সহযোগিতায় তাকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পর দিন ৩ জুন ওই নারী এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়।
মামলার বাদী তার বোনকে ধর্ষণের বিচারের পাশাপাশি সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর পিতৃপরিচয় খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন পুলিশের কাছে।
রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা আবুল খায়ের রাসেল বলেন, বর্তমানে মা ও নবজাতক শিশুটি সুস্থ রয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ভর্তির সময় ওই নারীর স্বামীর নাম পাওয়া যায়নি।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এজাহারে যাদের নাম রয়েছে, তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে সন্দেহভাজনদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। সন্তানটির প্রকৃত পিতাকেও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।