জুমবাংলা ডেস্ক : অন্যের সাহায্য নিয়ে বিকেলে হটলাইনে (৩৩৩) ফোন করে রাতেই খাবার পেলো মোহাম্মদপুর হাউজিংয়ের ৪১ অনাহারী পরিবার। ৪১টি দিনমজুর পরিবার বাধ্য হয়েই অন্যদের সহায়তা নিয়ে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বিকেলে খাবারের সংকট মেটাতে হটলাইনে কল করেন। কলটি ঢাকা জেলা প্রশাসনে সংযুক্ত করা হয়। পরে সন্ধ্যার মধ্যেই ঢাকা জেলা প্রশাসন অনাহারে থাকা পরিবারের ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়। বাংলানিউজ
ঢাকা জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুম ফোন কল পেয়ে পরিবারপ্রতি ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল ও এক লিটার তেল পৌঁছে দেয়। এই খাবার ফুরিয়ে যাওয়ার পরে পুনরায় খাবার দেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারগুলোতে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন অসহায়দের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) জেলা প্রশাসনের আওতায় শুরু হলো ভ্রাম্যমাণ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। এই ধারাবাহিকতায় অসহায়দের দ্বারে দ্বারে ত্রাণ নিয়ে ছুটছেন মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ আলী। এছাড়াও সরকারের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসন ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মাদপুর, উত্তরা, রামপুরা, বাড্ডা, শান্তিবাগ, বাবুবাজার, মাতুয়াইল ও লালবাগ এলাকায় ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, এক কেজি ডাল ও এক লিটার তেল দেয়। দারুসসালাম এলাকার ৩য় কলোনিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০টি পরিবারের মধ্যে সরকারের পক্ষে খাবার বিতরণ করেন মিরপুর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মোরাদ আলী।
সৈয়দ মোরাদ আলী বলেন, রাত ৮টা থেকে সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের ১০ জন কর্মকর্তা নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভবঘুরে, রিকশাচালক, দিনমজুর, রাজমিস্ত্রী, প্রতিবন্ধীসহ ১ হাজার কর্মহীন মানুষকে ত্রাণ দেন। এছাড়া ৩৩৩ হটলাইনে ও জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুমে প্রাপ্ত টেলিফোনের মাধ্যমে ৪১টি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল ও ৫ কেজি আলু পৌঁছে দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।