শফিকুল ইসলাম : সদরঘাটের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে সোমবার (২৯ জুন) লঞ্চ ডুবির ঘটনায় দায়ী লঞ্চ ময়ুর-২ এর মালিক ও চালকের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের আটক করা যায়নি। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী এই লঞ্চের মালিক, চালক, মাস্টার, সুপারভাইজার কোথায়? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘটনার পর থেকে তারা সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ময়ুর-২ লঞ্চের মালিকের নাম মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদ। ঢাকার বাসিন্দা এই মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদের কোম্পানির নাম সি-হর্স করপোরেশন। তিনি ময়ুর-২ লঞ্চের রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন এই কোম্পানির নামে।
ময়ুর-২ লঞ্চের নামে খোলা ফেসবুক পেজে পাওয়া দুটি নম্বরে (০১৭৫৯৯৪৪১৪৪ ও ০১৭৩২৫৫০৫৪৮) যোগাযোগ করেও এই লঞ্চের মালিক, সুকানি, মাস্টার, সুপারভাউজার কাউকেই পাওয়া যায়নি। নম্বর দুটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ময়ূর-২ লঞ্চের চালক শিপন হাওলাদার। যোগাযোগ করা হলে বর্তমানে তিনি ছুটিতে রয়েছেন বলে শিপন হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘আমি বেশ কয়েকদিন ধরেই ছুটিতে আছি। ঘটনার সময় আমি লঞ্চ ছিলাম না।’ তার অবর্তমানে লঞ্চের মাস্টার লঞ্চটি চালাচ্ছিলেন বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, ময়ূর-২ এর আঘাতে ডুবে যাওয়া ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চের মালিক দুই জন। এরা হলেন— মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন ও আব্দুল গফুর। ‘তালতলা ওয়াটার ওয়েজ’ কোম্পানির নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে মর্নিং বার্ড লঞ্চের। বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও এই লঞ্চের দুই মালিকের কাউকেই পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকেও ফোনে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে কয়েকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তবে ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে আইসোলেশনে বাসায় রয়েছেন। আলমগীর হোসেন বলেন, ‘হয়তো ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, চালক, সারেং, মাস্টার, সুকানি, সুপারভাইজার গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে অবশ্যই তাদের ধরা পড়তেই হবে।’
তিনি জানান, যদিও লঞ্চের মালিকের রেসপন্সিবিলিটি রয়েছে। তবে দুর্ঘটনার জন্য চালক, মাস্টার, সুপারভাজার সমানভাবে দায়ী।’ সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।