সজল আলী, মানিকগঞ্জ থেকে : মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচিতে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এই প্রকল্পে আওতায় খাতাকলমে যে পরিমাণ শ্রমিক দেখানো হয়েছে বাস্তবে সেই পরিমান শ্রমিক নেই বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ইউনিয়নের চলমান ৪০ দিনের কর্মসূচির ২য় পর্যায়ের প্রকল্প এলাকার আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,’যে পরিমান লোক নেয়ার কথা তা না নিয়ে অল্প সংখ্যক লোক নিয়ে কাজ করানো হয়। আমাদের এলাকায় এভাবেই চলে চল্লিশ দিনের কর্মসূচির কাজ। এলাকার লোকজন কিছু বললে, কারো কোনো কথার গুরুত্ব দেন না স্থানীয় ইউপি সদস্যরা’।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের ৩ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচা রাস্তায় কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছে। কতজন কাজ করছেন এবং থাকার কথা কতজন জানতে চায়লে কুশিয়ারচর গ্রামের একজন শ্রমিক বলেন, আমাদের ৪২ জনের টিম। কিন্তু আমরা মাত্র ৩৫ জন কাজ করছি।বৈদ্যকান্দি গ্রামে কাজ করছে এমন একজন জানান, সুবিধা ভোগি ৪১জন কিন্তু আমরা কাজে আছি ৩৩ জন। বাকীরা অন্য কাজে ব্যস্ত আছে। তবে হাজিরা খাতায় সবারই স্বাক্ষর করা আছে। সর্দার হাজিরা খাতা নিয়ে ব্যাংকে কাজে গেছে বলে এরা সবাই জানায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন ২০২০-২০২১ দ্বিতীয় পর্যায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থানের দুইটি ওয়ার্ডে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৮৩ জন, মুজুরী ৬,৬৪,০০০ টাকা। প্রাক্কলিত মাটির কাজের পরিমাণ ৯৯,৬০০ ঘনফুট ।
৮ নং ওয়ার্ডের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য আকলিমা বেগম বলেন, ‘সবাই আসে কিন্তু মাঝে মাঝে দু-একজন আসেনা। এখন ৪১ জনের ভিতর ৩৩ জন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, খরচাপাতির কিছু বিষয় আছে এটা নিয়ে আপনি লেখালেখি কইরেন না বিল পাওয়ার পর আপনার খরচাপাতির ব্যবস্থা করবো’। তবে ৩নং ওয়ার্ডের প্রকল্পের সভাপতি ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকার কারণে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানিকুজ্জামান বলেন,’যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাইফুল ইসলাম জানান, ‘আমি সেখানে গিয়ে দেখবো।কাজ হলে টাকা পাবে, কাজ না হলে পাবে না’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।