জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালে নগরীর সাগরদীতে নকল ওষুধের কারখানা ‘হদুয়া লজ’-এ অভিযান চালিয়ে ৮টি খ্যাতনামা ওষুধ কোম্পানীর মোড়কে উৎপাদিত প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধ, ওষুধ তৈরির কাঁচামাল এবং সরঞ্জাম জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ওষুধ প্রশাসন এবং পুলিশের সহায়তায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়। এসময় নকল ওষুধ উৎপাদন ও বিপননের সাথে জড়িত থাকায় কারখানাসংশ্লিস্ট ২ জনকে আটক করে এক বছর করে কারাদণ্ড, আড়াই লাখ টাকা করে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
আটককৃতরা হচ্ছেন- কারখানার প্রধান পরিচালক মাসুম বিল্লাহ এবং তার সহযোগী নূরে আলম গাজী। মাসুম বিল্লাহ ঢাকার ওষুধ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের ভাগ্নে।
বিকেলে জব্দকৃত নকল ওষুধ ও কাঁচামাল নগরীর রসুলপুর চরে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র থেকে জানা গেছে, ওই এলাকার হদুয়া লজ-২ নামের বহুতল ভবনে বিভিন্ন কোম্পানীর নকল ওষুধ তৈরীর কার্যক্রম চলছিলো। ওই বাড়ির মালিক সাইফুল ইসলাম ঢাকার বাবু বাজারে ওষুধের ব্যবসা করেন। বরিশালে তার বাড়িতে উৎপাদিত এসব নকল ওষুধে খ্যাতনামা বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর মোড়ক লাগিয়ে ঢাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হতো। সেখান থেকে ওই ওষুধ ছড়িয়ে দেয়া হতো বিভিন্ন জেলায়। বরিশালের কেমিস্ট ল্যাবরেটরীজের জেনারেল ম্যানেজার কাজল ঘোষ জানান, তাদের কোম্পানীরসহ বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর মোড়কে ওই কারখানায় নকল ওষুধ উৎপাদন করে বাজারজাত করা হতো।
অভিযানে নকল ওষুধ এবং প্রসাধনী তৈরীর সময় মাসুম বিল্লাহ এবং তার সহযোগী নূরে আলমকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তারা নকল ওষুধ তৈরীর কথা স্বীকার করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ২জনকে আটক করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। একই সাথে কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, অনুমোদনহীন কারখানায় নকল ওষুধ তৈরীর সাথে জড়িত অন্যান্যদের আইনের আওতায় আনা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।