জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয় বছর বয়সী ফুটফুটে মেয়ে আসমা। ২০০১ সালের শীতে মা ও ভাইবোনদের সঙ্গে ট্রেনে করে চট্টগ্রামের চাঁনগাওয়ে মামার বাসায় বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ ১৯ বছর পর নোয়াখালীর সাংবাদিক মেজবাহউল হক মিঠুর প্রচেষ্টায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রবীণ সাংবাদিক ও সাংবাদিক সমিতি- বাসাসের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. আরজু মিয়ার সহযোগিতায় আসমা তার মা-বাবা, ভাইবোনকে খুঁজে পায়।
রোববার সকাল ১০টায় আসমা ও তার তিন বছরের মেয়েকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে আসা মা, বোন ও চাচার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদুল্লাহ খান সোহেল ও নোয়াখালী সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি-বাসাসের মহাসচিব মনিরুজ্জামান চৌধুরী, পৌরসভার কাউন্সিলর ও সাংবাদিকরা।
অনুষ্ঠানে আসমার বোন রানু বেগম জানান, ২০০১ সালে তারা তিন ভাই তিন বোন মায়ের সঙ্গে চট্টগ্রামের চাঁনগায়ে মামার বাসায় বেড়াতে যায়। পরদিন তারা শহরে বেড়াতে বের হয়। হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে তার ছয় বছরের বোন আসমা হারিয়ে যায়। কয়েক দিন ধরে অনেক খোঁজখবর নিয়ে না পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামের বাড়িতে ফিরে যান সবাই। ১৯ বছর পর তারা তাদের হারানো বোনকে নোয়াখালীতে ফিরে পেয়েছেন। রানু বেগম তার বোনকে যারা লালনপালন করে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আসমা বলেন, আমার মা-বাবার মতো যারা আমাকে লালনপালন করেছেন তারাও আমার মা-বাবা; আমি কোনোদিন তাদের ভুলতে পারব না। আমি তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখব। আমার বিশ্বাস তারাও আমাকে ভুলবেন না।
আসমাকে পালনকারী টিএন্ডটির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন দম্পতি এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ফরহাদের স্ত্রী জহুরা আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ১৩ বছর আগে এক ভদ্রলোক আসমাকে এনে তার বাসায় দেন। সেই থেকে মেয়ের মতো তাকে লালনপালন করে বড় করেছেন। তিনি নোয়াখালী ইউএনবির সাংবাদিক মেজবাহউল মিঠু ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক আরজু মিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।