সুমন ইসলাম : ফরিদপুরে বন বিভাগের বিরুদ্ধে পাঁচ শতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বনবিভাগ বলছে, বনায়নের জন্য গাছগুলো কাটা হয়েছে।
শনিবার (১০ জুলাই) জেলার পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গঙ্গাবর্দী এলাকার কুমার নদের তীরবর্তী স্থানে লাগানো এসব কলাগাছ কাটা হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বনবিভাগের কর্মীরা স্থানীয়দের লাগানো এসব কলাগাছ কেটে ফেলেছেন।
জানা গেছে, শহরের বর্ধিত পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের গঙ্গাবর্দী, পশ্চিম গঙ্গাবর্দীসহ কুমার নদের তীরের সরকারি জায়গায় স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা লাগিয়ে তা পরিচর্যা করে আসছিলেন।
সম্প্রতি, কুমার নদের মাটি কাটার পর নদের তীরে কলাগাছ লাগান স্থানীয়রা। নদের তীরবর্তী স্থানে কয়েক হাজার কলাগাছের চারা রোপণ করেন। সেই চারাগুলো বড় হয়ে প্রতিটি গাছেই কলা ধরেছে। কয়েকদিন পরই কলাগুলো পেকে যেতো এবং বিক্রি করতে পারতো তারা।
কিন্তু হঠাৎ করে সকালে স্থানীয় বন বিভাগের বেশ কজন কর্মীকে কলাগাছগুলো কেটে ফেলতে দেখা যায়। গাছগুলো লাগানো ব্যক্তিরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের কোনো কথাই শোনেননি বন বিভাগের লোকজন। এ সময় ৫ শতাধিক ফল ধরা কলাগাছ কেটে ফেলা হয়।
আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, কুমার নদের পাশে তাদের বাড়ি। তারা বিভিন্ন জাতের গাছ লাগিয়ে ছিলেন। গত বছর তিনিসহ বেশ কয়েকজন নদের তীরে কয়েক হাজার কলাগাছ লাগান। প্রতিটি কলাগাছই ফল ধরা ছিল। বনবিভাগের লোকজন কোনো কারণ ছাড়াই গাছগুলো কেটে ফেলেন। ফলে তাদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, কলা ধরা অবস্থায় গাছগুলো বনবিভাগ না কাটলেই পারতো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মীর সাইদুর রহমান বলেন, বৃহৎ স্বার্থে অনেক সময় ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করতে হয়। বনায়নের জন্য কলাগাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।