জুমবাংলা ডেস্ক : প্রেমের টানে তামিলনাড়ু থেকে বরিশাল পৌঁছে প্রেমিকার স্বঘোষিত আরেক প্রেমিকের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হওয়ার পর ভারতের নাগরিক প্রেমাকান্ত বলছেন— ফিরে যাওয়ার আগে আরেকবার সেই প্রেমিকার দেখা পেতে চান।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, এখনো হাল ছাড়তে রাজি নন। এবার প্রেমিকার গ্রামের বাড়ি বরগুনায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । তাকে ওই নারীর মুখোমুখি হতেই হবে।
এর আগে, বরগুনার তালতলী উপজেলার অধিবাসী ওই কলেজপড়ুয়া প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমাকান্তের প্রথমবার দেখা হয়। কিন্তু, প্রেম থেকে যায় অধরা। প্রেমিকার দেখা পেতে সারা সপ্তাহ নগরীর এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত চষে বেড়িয়েছেন। উপায় না পেয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিশ এবং গণমাধ্যমের। তিন দিনপুলিশ হেফাজতেও ছিলেন।
নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকান্ত বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নাচের ভিডিও দেখে প্রেমে পড়েন সরকারি মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থী। তিনি প্রেমকান্তের ভিডিওতে নিয়মিত লাইক-কমেন্ট করতেন। ফেসবুকের বদৌলতে দুই জনের মধ্যে প্রেম হয়। চলে টানা তিন বছর। এমনকি, মেয়েটির পরিবারের সঙ্গেও তার সুসম্পর্ক তৈরি হয় বলে দাবি করেন প্রেমাকান্ত।
শেষমেশ, প্রেমাকান্ত মনস্থির করেন দূর থেকে আর নয় এবার সরাসরি দেখবেন কাছের মানুষটিকে। মহামারির কারণে আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ২৪ জুলাই বরিশাল আসেন তামিলনাড়ুর ওই যুবক। ২৫ জুন দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে দুজনের প্রথম দেখা হয়। হান্ডি কড়াই রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান তারা।
ওই দিনে বিকেলে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে যাওয়ার পর ঘটনা আরেকদিকে মোড় নেয়। চয়ন হালদার নামে এক যুবক দাবি করেন, ওই নারীর সঙ্গে তার প্রেম। ২৭ জুলাই নগরীর কাশিপুর চৌমাথা এলাকায় প্রেমকান্তকে বেধড়ক মারেন চয়ন। শুধু তাই নয় তার সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও করেন। ওই ঘটনার পর থেকে সেই প্রেমিকা ও তার পরিবারের সঙ্গেও আর যোগাযোগ করতে পারছেন না প্রেমাকান্ত। ভগ্ন হৃদয় নিয়ে তামিল যুবক এয়ারপোর্ট থানায় গিয়ে হাজির হন। সেখানে তিন দিন তাকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। অভিযোগের বিপরীতে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থাকার পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকেই হয়রানি করে, বলছেন তামিল প্রেমিক।
এ ব্যাপারে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, প্রেমকান্ত বৈধভাবেই বাংলাদেশে এসেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে থানায় নিলে বিস্তারিত জানা যায়। পরে ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১ আগস্ট সকালের বাসে তাকে ঢাকা পাঠানো হয়। সেখান থেকে নিজ দায়িত্বে তার ভারত চলে যাওয়ার কথা।
কিন্তু, ঢাকাগামী বাস থেকে নেমে ফের বরিশালে ফেরেন জানিয়ে প্রেমাকান্ত সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেন, ওই নারী প্রকতপক্ষে তাকেই ভালোবাসেন। তা না হলে বরিশালে আমন্ত্রণ জানাতেন না। প্রেমাকান্ত বিশ্বাস করেন, আরেকবার দেখা হলেই ‘প্রিয়তমা’ তার কাছে ফিরে আসবে। তাই, তামিলনাড়ুতে ফেরার আগে আর একবার তার দেখা পেতে চান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।