জুম-বাংলা ডেস্ক : সাতলা গ্রামের নামেই বিলের নাম, সাতলা বিল। তবে শাপলার রাজত্বের কারণে সেটি এখন শাপলা বিল নামেই বেশি পরিচিত। প্রাকৃতিকভাবেই শাপলা বিলের রঙিন হাসিতে উজ্জ্বল গ্রামটি। বছরের একটা সময়ে কয়েক একর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে লাল টুকটুকে শাপলা। সন্ধ্যা নদীর প্লাবন ভূমি এই ছোট্ট গ্রাম, যা এখন সবার কাছে শাপলা রাজ্য।
বরিশাল সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের উত্তর সাতলা গ্রাম এক পলকে মনে হবে, লাল শাপলার কোনো চাদর। পুরো বিলজুড়ে বিছানো শাপলা। এই বিলকে শাপলার রাজধানী বললেও ভুল হবে না। এ বিলে ভ্রমণের জন্য আছে ছোট আকারের নৌকা।
সূর্যের স্নিগ্ধ আলো পড়া মাত্রই এক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয়। ছোট নৌকায় করে পুরো বিল বেড়ানো, পানির কল কলধ্বনি আর তাজা ফুলের দৃশ্য মনে ভিন্ন এক অনুভূতির জোগান দেয়। আর নয়নাভিরাম দৃশ্যে চোখ তো জুড়াবেই।
আবার তার মাঝেই সাদা বক, পানকৌড়ি, মাছরাঙ্গা, ফিঙে, শালিক, দোয়েল, চড়ই, কাঠঠোকরাসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় প্রজাতির পাখির কলকাকলিও তো আছেই। এখানে কবে থেকে শাপলা ফোটা শুরু হয়েছে তা কারো জানা নেই।
তিন ধরনের শাপলার দেখা মিলবে এই বিলে লাল, সাদা ও বেগুনি। তবে লাল শাপলাই বেশি দেখা যায়। সাতলার প্রায় ১০ হাজার একর জলাভূমিতে শাপলার চাষ করা হয়। শাপলা গ্রাম থেকেই সারাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে শাপলা ফুল সরবরাহ করা হয়।
তাছাড়া শাপলার বিল শুধু সৌন্দর্য নয় বিল থেকে শাপলা তুলে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে ওইসব এলাকার অসংখ্য পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছেন। শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, এখানকার দরিদ্র মানুষগুলো শাপলানির্ভর কর্মযজ্ঞ করে আর্থিকভাবে টিকে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।