জুমবাংলা ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বর্গরাজ্য হোয়াদাম পার্ক। যা হোয়াদাম বোটানিক গার্ডেন নামেও পরিচিত। উৎসবের ঋতু শরতে এর সৌন্দর্য যেন আরও বেড়ে যায়। এ সময় প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক এখানে ঘুরতে আসেন। তবে শরতের বিদায় বেলাতেও এর সৌন্দর্য দেখতে ভিড় করছেন পর্যটকরা।
রাজধানী সিউল থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দুরে গোয়াংজুতে এই হোয়াদাম পার্ক। কোরিয়ান ভাষায় হোয়াদাম মানে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ’। ১৭টি থিমে বিভক্ত এটি।
এতে রয়েছে ম্যাপল, বার্চ, ওক ও চেরিসহ ৪ হাজারেরও বেশি দেশি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। একটি বিশেষ সেতুও আছে। সেই সেতুতে চিরদিনের বন্ধনের প্রত্যাশায় প্রিয় ব্যক্তির নাম লিখে তালা ঝুলিয়ে দেন অনেক দর্শনার্থী।
প্রতিটি ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে পার্কটি। তবে শরতে সেই সৌন্দর্য কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এ সময় সেই সৌন্দর্য উপভোগ করা পর্যটকদের কাছে অনেকটাই স্বপ্নের মতো।
শরতের সৌন্দর্য উপভোগে সবচেয়ে সুন্দর সময় নভেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিন। এ সময় পার্কটিতে স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। তবে নভেম্বর শেষ হতে চললেও তাতে এতটুকু ভাটা পড়েনি।
এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকদের গাছের নিচ দিয়ে পায়ে হেঁটে পাহাড়ে উঠতে হয়। তবে ঘুরে বেড়ানোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ মনোরেল। বাহারি রঙের গাছের ভেতর দিয়ে পাহাড় ঘেঁষে পুরো পার্ক ভ্রমণ আনন্দের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়।
এ সময় প্রতিদিন এতো পর্যটক ভিড় করেন যে মনোরেলের টিকেট পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। ছোট শিশুরা খোলামেলা পরিবেশে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াতে পারে পার্কটিতে। আবার স্থানীয় কোরীয়রা অনেকে ড্রেস পরেন গাছের পাতার সঙ্গে রঙ মিলিয়ে।
দক্ষিণ কোরীয় এক তরুণী বলছিলেন, ‘শরতের রঙবেরঙের পাতা খুব জনপ্রিয়। তাই আমি পাতার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে লাল জামা পরে বন্ধুদের সঙ্গে এখানে ঘুরতে এসেছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।