জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে (কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত) ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটি সমাপ্ত হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন।
১০ হাজার ৩২৯ দশমিক ৬৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সেপ্টেম্বর ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত মেয়াদকালে একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয় প্রকল্পটি।
এই প্রকল্পের আওতায় ১৮৪ দশমিক ৭৯ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ৬ দশমিক ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ৮ লেনবিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে ও ৪ লেনবিশিষ্ট সার্ভিস রোড এবং বালু নদী থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ৬ দশমিক ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬ লেনবিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে এবং ৪ লেনবিশিষ্ট সার্ভিস রোডের নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরণির উভয় পাশে নিকুঞ্জ, জোয়ার সাহারা, বরুয়া ও ডুমনী এলাকায় ১০০ ফিট চওড়া ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল পুনরুদ্ধার, খনন ও উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এ ছাড়া শেখ হাসিনা সরণির ওপর ৫টি অ্যাটগ্রেড ইন্টারসেকশন, ১২টি ব্রিজ, ৬টি আন্ডারপাস, ৬টি ফুটওভার ব্রিজ ও ১ হাজার ১৭০টি সড়কবাতি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। খালের ওপর ১৩টি ব্রিজ, ৩৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, ১২ দশমিক ৫ কিলোমিটার সীমানাপ্রাচীর, ২টি স্লুইসগেট ও ১১টি সাবস্টেশন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এ ছাড়া শেখ হাসিনা সরণির উভয় পাশে ৯টি লেনে প্রায় ৬০ হাজার বৃক্ষরোপণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় উল্লিখিত ডুমনী, বোয়ালিয়া ও এডি-৮ খাল পুনরুদ্ধার, উন্নয়ন ও ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিসহ কুড়িল, নিকুঞ্জ, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বারিধারা ডিওএইচএস, ঢাকা সেনানিবাস, বসুন্ধরা, কাওলা, জোয়ার সাহারা, বরুয়া ইত্যাদি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন ও খালসংলগ্ন এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নয়ন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা সরণি বাস্তবায়নে ঢাকার পূর্ব-পশ্চিমে আরেকটি যোগাযোগ দ্বার উন্মোচন হয়েছে। সড়কটি নির্মাণে ঢাকার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রাম শহরের যোগাযোগ সহজতর হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।