ভ্রমণপ্রেমীরা কনকনে শীতের মাঝেই খুঁজে নিচ্ছেন সময়োপযোগী গন্তব্য। এমন সময়ে বেড়াতে যেতে পারেন এই ২টি চমৎকার স্থানে। সামনেই কনকনে শীত পড়তে যাচ্ছে। ভ্রমণপ্রেমীরা এর মধ্যেই খুঁজে নিচ্ছেন সময়োপযোগী গন্তব্য। কারণ, শীতকে বলা হয়ে থাকে ভ্রমণের মৌসুম। তাই হাল ফ্যাশনের পাঠকদের জন্য রইল এই কনকনে শীতে দারুণ কিছু ভ্রমণের স্থানের সন্ধান।
মাটিটা
চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর মাটিটা এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় রিসোর্ট, যা পাহাড়ের মধ্যে অবস্থিত। এটি একটি অ্যাডভেঞ্চারধর্মী ইকো রিসোর্ট আর ওয়েলনেস প্রজেক্ট। অ্যাডভেঞ্চার মিটস ইকো রেসপনসিবিলিটি এই থিমে তারা কাজ করছে। প্রতিটি রুম পরিবেশবান্ধব। অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের জন্য ইনস্ট্রাক্টর আছে। জিম লাইন, দড়ি টানাটানি, ক্যাম্পিং, বোটিং, কায়াকিংসহ মজার সব অ্যাক্টিভিটি আছে এখানে।
এখানকার সবকিছু এত সুন্দর যে ছবি তুলে শেষ করা কঠিন। সামনেই রয়েছে নান্দনিক সুইমিংপুল। আপনি চাইলে পাহাড়ে ট্রেকিং করতে পারবেন। রাতে খোলা মাঠে প্রজেক্টরের মাধ্যমে মুভি দেখানো হয়। সঙ্গে রাতের খাবারে থাকে লাইভ বারবিকিউ, পরোটা, সবজি, চাওমিন। এখানে দুই ধরনের ডে প্যাকেজ আছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জনপ্রতি ২০০০ টাকা আর রাত ৮টা পর্যন্ত ৩৫০০ টাকা।
এখানে থাকবে ওয়েলকাম ড্রিংকস, সকালের নাশতা, দুপুরের খাবার, বিকেলের নাশতা আর ৩৫০০ টাকার প্যাকেজে থাকবে রাতের খাবার। এখানকার খাবারের দারুণ প্রশংসা শোনা যাচ্ছে অতিথিদের মুখে। ডে প্যাকেজে আপনি পেয়ে যাবেন একটি চেঞ্জিং রুমও। ন্যূনতম ১০ জন মিলে আসতে হবে এখানে। রাতে থাকতে চাইলেও রয়েছে বিভিন্ন রকমের প্যাকেজ।
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা রিসোর্ট
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় ২০০৮ সালে এটি গড়ে ওঠে। সবুজ বনের মধ্যে গ্রামীণ পরিবেশ ছেলেবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দেবে আপনাকে। এখানে ভিআইপি এসি স্যুট, ডিলাক্স স্যুট, এসি রুম, নন এসি রুম, রেস্টুরেন্ট, পিকনিক স্পট, জাদুঘর, জিম, সওনা সেন্টার, সুইমিংপুল, বেকারি, বার আর ডিস্কোসহ সব আধুনিক সুযোগ–সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া টেনিস, ফুটবল, ক্রিকেট, টেবিল টেনিস আর ব্যাডমিন্টন খেলার সুব্যবস্থা রয়েছে।
রয়েছে বাচ্চাদের জন্য কিডস জোন, হর্স রাইডিং, বোটিংয়ের ব্যবস্থা। ৫০ থেকে ১৫০ জনের বড় গ্রুপ আসতে পারে এখানে। রাতে থাকার জন্য রয়েছে বিভিন্ন প্যাকেজ। খরচ পড়বে ৩ থেকে ১২ হাজার পর্যন্ত। এখানে ভারতীয়, চিনা, থাই, কন্টিনেন্টাল—সব ধরনের খাবার পাওয়া যায়। রিসোর্টের নিজস্ব পরিবহনে করটিয়া জমিদারবাড়ি, মধুপুর গড় ও ধনবাড়ি ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।