ঘুরতে ভালো লাগে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না। মানুষের এতো ব্যস্ততার মাঝেও একটু সুযোগ পেলেই ঘুরতে বেড়িয়ে পরে । শারীরিক ও মানুষিক সুস্থতার জন্য আর মন ভালো রাখতে ঘুরে বেড়ানোর বিকল্প কিছু নেই। তবে বর্তমান শহুরে যান্ত্রিক জীবনে নিজেকে সময় দেওয়া খুবই কষ্টকর। তাই যাদের সময় খুবই কম তারা এক দিনের মধ্যে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার পাশের দর্শনীয় স্থান গুলোতে। তাহলে নিজের পরিবারসহ প্রিয় মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতে সেই জায়গা গুলো কোথায় জেনে নেওয়া যাক ।
১. গোলাপ গ্রাম: যতদূর চোখ যায় তার সবটা জুড়ে কেবলই চোখে পড়বে নানা রঙের গোলাপ আর সবুজের সমারোহ। ঢাকার পাশের দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে সাভারের বিরুলিয়ার গোলাপ গ্রাম গ্রামগুলোতে দেখা মেলে এক একটা আলাদা আলাদা ফুলের রাজ্য। ফুলের মাঝে নিজেকে হারাতে চাইলে ও অন্যরকম এক সময় কাটাতে চাইলে গোলাপ গ্রাম দারুন একটা জায়গা। প্রিয় মানুষ গুলোকে নিয়ে গোলাপের সাথে যদি ছবি তুলতে চান তবে ঘুরে আসতে পারেন অসাধারণ এই জায়গাটি থেকে।
২.পানাম নগর: বিশ্বের একশটি ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনার মধ্যে পানাম নগর অন্যতম। তবে নীরব সময় কাটাতে চাইলে ও পাশাপাশি স্মৃতির পাতা দেখতে ঢাকার পাশের দর্শনীয় স্থান সোনারগাঁ পানাম নগর অন্যতম। ঈশা খাঁর আমলে বাংলার রাজধানী ছিল এ জায়গাটি। কালের বিবর্তনে যা এখন রূপ নিয়েছে এ ধ্বংসস্তূপে। তবুও মনোরম পরিবেশ আর হাজার বছরের ঐতিহ্য দেখতে এ জায়গাটিকে ঘিরে পর্যটকদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো।
৩.বালিয়াটি জমিদার বাড়ি: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জমিদার বাড়িগুলোর মধ্যে মানিকগঞ্জের বালিয়াটি জমিদার বাড়ি অন্যতম। সাতটি স্থাপনা নিয়ে তৈরি এ জমিদার বাড়িটি আপনার ঘোরাঘুরির জন্য উপযুক্ত। পাশাপাশি এ বাড়িটির মনোরম পরিবেশ আপনার মনে অন্য এক ভালোলাগার সৃষ্টি করবে। পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে ঢাকার পাশের দর্শনীয় এই স্থানে একদিনের মধ্যে খুব সহজে ঘুরে আসতে পারেন।
৪.মৈনট ঘাট: মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত ঢাকার খুব পাশের দর্শনীয় স্থান দোহারের মৈনট ঘাট। সমুদ্রের বেলাভূমি আর পদ্মার উত্তাল ঢেউ আপনাকে কিছুটা হলেও কক্সবাজারের কথা ভুলিয়ে দেবে। খাবারের জন্য রয়েছে ছোট ছোট স্টল। নানান টুকিটাকি জিনিসও আপনি কাছের বাজার থেকে পেয়ে থাকবেন। সব মিলিয়ে দিনভর এই দর্শনীয় স্থানটি খুব সহজেই এবং সুন্দর ভাবে কাটিয়ে আসতে পারেন স্বপরিবারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।