জুমবাংলা ডেস্ক : নতুন আশ্রয় নিয়ে খুশি রোহিঙ্গারা। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সহযোগিতার জন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহবান জানিয়েছে এনজিও ফোরাম। এমন সুন্দর বাসস্থান পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত তার পরিবার। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সাতটি জাহাজে ভাসানচরে এসে পৌঁছান এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গাদের সঙ্গেই আসেন আয়শা, তার মা আরফা বেগম ও দুই মেয়ে মরিয়ম এবং রিয়া মনি। তবে তার স্বামী নূর হোসেন বাঙালি হওয়ায় আসেননি।
আয়শা বেগম বলেন, আমাদের কেউ জোর করেনি, স্বেচ্ছায় ভাসানচর এসেছি। এখানে স্কুল, খেলার মাঠসহ বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। আমাদের ছেলে-মেয়ে স্কুলে যেতে পারবে। খেলাধুলা করতে পারবে।
রোহিঙ্গারা ভাসানচরে পৌঁছানোর পর করোনার কারণে সবার শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়। এরপর হাত ধুয়ে জেটি থেকে গাড়িতে করে তাদের আবাসস্থলে নেয়া হয়। সেখানে শিশুদের চলাচলের জন্য সাহায্য করেন নৌবাহিনীর সদস্যরা।
ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য ১৬৪২ রোহিঙ্গাকে বুধবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়। উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে ২০টি বাস জড়ো করা হয়। বৃহস্পতিবার সেসব বাসে পাঁচটি কনভয়ে উখিয়া থেকে তাদের চট্টগ্রামে আনা হয়।
রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলোর সামনে ও পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ছিল। চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর রাতে তাদের বিএএফ জহুর ঘাঁটির বিএএফ শাহিন স্কুল ও কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হয়।
শুক্রবার সকালে নৌবাহিনীর ছয়টি এবং সেনাবাহিনীর একটি জাহাজে ভাসানচরে নেয়ার জন্য তাদের তোলা হয়। জাহাজের ডেকে বেঞ্চ বসিয়ে সবার বসার ব্যবস্থা করা হয়।
সকাল সোয়া ১০টার পর চট্টগ্রামের বোট ক্লাব, আরআরবি জেটি ও কোস্টগার্ডের জেটি থেকে জাহাজগুলো ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমকেজেড শামীম। নৌবাহিনীর দুটি জাহাজে করে রোহিঙ্গাদের এক হাজার ১৯টি লাগেজ বৃহস্পতিবারই ভাসানচরে পৌঁছানো হয়েছিল।
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ হাজার একর আয়তনের ভাসানচরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়। যেখানে এক লাখের বেশি মানুষ বসবাস করতে পারবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।