জুমবাংলা ডেস্ক : ইমা আক্তারের বয়স মাত্র দুই বছর। সে বাম হাতে ব্যথা পেলে নেওয়া হয় হাসপাতালে। পরীক্ষার পর তার হাত ভাঙার বিষয়টি জানতে পারে পরিবার। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তার হাতে প্লাস্টারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসক তার ক্ষতিগ্রস্ত হাত রেখে ভালো হাতে প্লাস্টার করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। অভিযোগটি উঠেছে নেত্রকোনার মদন উপজেলায়।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মদন উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট মেডিকেল অফিসার মো. মিরাজুল ইসলাম মিরাজ ওই শিশুর হাতে প্লাস্টার করেন। মদনের দক্ষিণপাড়া গ্রামের ইদুচানের মেয়ে ইমা আক্তার।
এ বিষয়ে ইদুচান বলেন, ‘আমার মেয়ে আজ দুপুরে ঘরের চৌকি থেকে পড়ে বাম হাতে ব্যথা পায়। এরপর তাকে মদন হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাতের এক্স-রে করার জন্য বললে আমি তা করে নিয়ে আসি। পরে মেয়ের ভাঙা (বাম) হাত রেখে ভালো হাতে (ডান) প্লাস্টার করে আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক মিরাজুল ইসলাম। বাড়ি এসে দেখতে পাই, মেয়ের বাম হাত ফুলে গেছে। পরে সন্ধ্যায় আমার মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডান হাতের প্লাস্টার খুলে বাম হাতে প্লাস্টার করে দেন চিকিৎসক।’
বিষয়টি স্বীকার করেছেন হাসপাতালের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট মেডিকেল অফিসার মো. মিরাজুল ইসলাম মিরাজ। তিনি বলেন, ‘এটি ভুলবশত হয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফখরুল হাসান চৌধুরী টিপু বলেন, ‘শুনেছি ইমা আক্তার নামের এক শিশুর ভাঙা হাত রেখে ভালো হাতে প্লাস্টার করা হয়েছে। যদি পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় তাহলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।