জুমবাংলা ডেস্ক: পটুয়াখালীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে স্ত্রীর দাবিতে এক শিশু শিক্ষার্থীর মা অনশনে বসেছেন। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে সদর উপজেলার শ্রীরামপুর ডাকাতিয়া খালগোরা গাজিবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অনশনে থাকা ওই নারী জানান, ছয় বছর আগে মেয়েকে পূর্ব কালীকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা-যাওয়ার সময় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রশিদের (৫০) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। গর্ভবতী হলে তাকে একাধিকবার গর্ভপাত করান ওই শিক্ষক। তাদের সরা (কলমা) হলেও কাবিন করেননি।
প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রশিদের স্ত্রী তানিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। স্বামীকে ফাঁসাতে মূলত এই নারীকে দিয়ে এই নাটক করছে একটি পক্ষ।
পূর্ব কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রশিদ বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ওই নারীর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। ওই নারী আমার নামে ধর্ষণ মামলা করছে। যা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
সদর উপজেলা মৌকরণ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সাইদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক মো. আবদুর রশিদ দুটি বিবাহ করছে। শুনেছি আরেকজন নারী স্ত্রীর দাবিতে অনশনে বসেছেন। প্রমাণ না থাকায় আমরা কিছু বলতে পারছি না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।