Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়কে ঝরল ২৭ প্রাণ
    জাতীয়

    দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়কে ঝরল ২৭ প্রাণ

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কAugust 9, 2020Updated:August 9, 20205 Mins Read
    Advertisement

    ভোর সাড়ে ৬টা। দিনের আলো কেবল ফুটতে শুরু করেছে। এই সময় হঠাৎ চুয়াডাঙ্গা সদরের সরোজগঞ্জ বাজারে যেন নেমে এলো কেয়ামতের অন্ধকার। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা একটি নৈশকোচ আলমসাধু (স্থানীয় যান) ও একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে নিভে যায় ছয়টি প্রাণ। চালক ঘুম ঘুম চোখে বাসটি চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন এর যাত্রীরা। এর ঠিক ১০ ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে ৪টায় দ্বিতীয় মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়। সেখানকার মানকোন এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী একটি বাস সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দিলে মারা যান একই পরিবারের তিনজনসহ সিএনজির সাত যাত্রী। এই ১৩ জন ছাড়াও গতকাল শনিবার ও আগের দিন রাতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন শিশুসহ আরও ১৪ জন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

    চুয়াডাঙ্গায় নিহত ছয়জন হলেন- সদর উপজেলার তিতুদহ গ্রামের তাহাজ্জত হোসেনের ছেলে সোহাগ আলী (২৫), রহিম মল্লিকের ছেলে শরিফ উদ্দিন (৩০), পিত্তর আলীর ছেলে রাজু আহমেদ (৪৫), হায়দার আলীর ছেলে কালু (৪০), বসু ভান্ডারদহের নিতাইয়ের ছেলে ষষ্ঠী (৪২) ও খাড়াগোদার মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে মোটরসাইকেল আরোহী মিলন হোসেন (৪০)। নিহতদের পাঁচজনই ছিলেন দিনমজুর। কাজের সন্ধানে তারা বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন।

    পুলিশ, বাসের যাত্রী ও স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম থেকে একজন চালকই রয়েল এক্সপ্রেস নামক বাসটি চালিয়ে আসছিলেন। সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারের কাছে পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি একে একে একটি পাখিভ্যান, আলমসাধু ও একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। তখনও বাসটি না থামিয়ে আধা কিলোমিটার রাস্তায় এমন তাণ্ডব চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন। আহত হন নয়জন। পরে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যান আরও তিনজন। নিহতদের পাঁচজনই আলমসাধুর যাত্রী। একজন মোটরসাইকেল আরোহী।

    বাসের এক যাত্রী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা বাসটি ঝিনাইদহ শহর পার হওয়ার পর চালক প্রায় ঘুমের ঘোরে বাসটি চালাচ্ছিলেন। যাত্রীরা বার বার সুপারভাইজার ও চালককে বিষয়টি অবগত করলেও কেউ কর্ণপাত করেননি। তাদের এই খামখেয়ালির কারণেই এত মানুষকে প্রাণ দিতে হলো।

    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাসসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। হতাহতদের খোঁজ নিতে পরে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান।

    চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম জানান, ঘাতক বাসসহ এর চালক আশাবুল আলমকে আটক করা হয়েছে।

    ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় নিহতরা হলেন- টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার সোলাকুড়ি ইউনিয়নের নয়াকুড়ি গ্রামের নুর ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী তাসলিমা (২৬), তাদের শিশুকন্যা লিজা (১০), অটোরিকশার চালক মো. আলাদুল (৩৮), যাত্রী মো. নজরুল (৩৫), নজর ইসলাম (৫৫) ও সাইদুল ইসলাম (৪৫)। এ চারজন মুক্তাগাছা উপজেলার ইসাখালী গ্রামের বাসিন্দা।

    মুক্তাগাছা থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় মুক্তাগাছা-জামালপুর সড়কের মানকোনের রায়থুরা এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজীব পরিবহন নামের একটি বাসের সঙ্গে ময়মনসিংহগামী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান চারজন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।
    ওসি আরও জানান, ঘাতক বাসটিসহ এর চালক মকবুল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

    এদিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ ও শনির আখড়ায় পৃথক দুর্ঘটনা এক নারী ও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- শাকিল নাহার (৩০) ও মো. পারভেজ (২৮)। শাকিল নাহার স্বামী ও আট বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে মোটরসাইকেলে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে নোয়াখালী যাচ্ছিলেন। সকাল ৯টার দিকে রায়েরবাগ এলাকায় তাদের মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে একটি তেলের গাড়ি ধাক্কা দিলে তারা মোটরসাইকেল থেকে রাস্তার পাশে পড়ে যান। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসক নাহারকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া ভোররাতে শনির আখড়ায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়লে চালক পারভেজ মারা যান।

    মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও সিংরাইয়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সকালে সাটুরিয়া হরগজ পূর্বনগর মসজিদের সামনে রাস্তা পার হতে গিয়ে অটোভ্যানের চাপায় ধূল্যা গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র শিশু রবিউল ইসলাম, দুপুরে সাটুরিয়া-বালিয়াটী সড়কের সওদাগর পাড়ায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে বাইসাইকেল আরোহী জামাল হোসেন (৬৫) মারা যান। অন্য ঘটনা শুক্রবার রাত ৮টায়। সিংরাই বাস্তা বাসস্ট্যান্ডের সামনে মোটরসাইকেলের সঙ্গে লেগুনার সংঘর্ষে খাদের পানিতে পড়ে লেগুনার যাত্রী শিশু আব্দুল্লাহ ও মোটরসাইকেল আরোহী আশরাফ খান নিহত হন।

    নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট এলাকায় শুক্রবার রাতে ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যান শরীয়তপুরের ডামুড্যা থানার নাসির মাতবর (২৮) ও আড়াইহাজারের পাঁচগাঁও চরপাড়া গ্রামের সাহিদ মিয়ার ছেলে ওয়াজিদ (১৪)।

    খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া আঙরদোহা দাখিল মাদ্রাসার সামনে গতকাল দুপুরে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী রুদাঘরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ইমান আলী মোল্লা (৬৮) নিহত হয়েছেন।

    গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম আকন্দের ছেলে স্বাধীন ইসলাম আকন্দ (১৬) গতকাল সকালে পলাশবাড়ীতে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় মারা যান।
    ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের খাতরা কচকচ এলাকায় গতকাল সকালে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী ব্র্যাক কর্মকর্তা আলাউদ্দিন শেখ (৪৭) নিহত হন। তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে পাঁচ দিন আগে বিয়ে করেন তিনি।

    ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার কুচিয়ামারা কলেজগেট এলাকায় গতকাল দুপুরে ট্রাকচাপায় পথচারী সুমন মিয়া (২৭) নিহত হন। তার বাড়ি ঢাকার লালবাগে।

    রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে প্রতিদিনের মতো শুক্রবার বিকেলে হাঁটতে বের হয়ে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মারা যান ফিরোজা বেওয়া (৫০) নামে এক বিধবা।

    বগুড়ার শেরপুরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের উপজেলা পরিষদের সামনে শুক্রবার রাতে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এনজিওকর্মী দিলীপ কুমার রায় (৩৫) মারা যান। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গাড়িবাকসি গ্রামে।
    ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার চন্দরিয়া-গোগড় পাকা সড়কের রনশিয়া এলাকায় মোটরসাইকেলর সঙ্গে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী আজহারুল (১৭) নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন তার আরও দুই বন্ধু।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    Rajshahi

    ডিসি-এসপিরা চিপায় পড়ে আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছেন: হাসনাত

    July 7, 2025
    Gas

    সোমবার ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ঢাকার যেসব এলাকায়

    July 6, 2025
    Sheikh Hasina

    শেখ হাসিনা কি লন্ডন যাচ্ছেন?

    July 6, 2025
    সর্বশেষ খবর
    সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার ৫টি টিপস

    সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার ৫টি টিপস: আজীবন সুস্থ থাকুন!

    আপনার জন্য সেরা ছোট ব্যবসার আইডিয়া

    আপনার জন্য সেরা ছোট ব্যবসার আইডিয়া

    শীতকালে সুস্থ থাকার উপায়

    শীতকালে সুস্থ থাকার উপায়: জরুরী পরামর্শ

    Motorola Moto G84 5G

    Motorola Moto G84 5G বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    বাচ্চাদের নৈতিক শিক্ষা

    বাচ্চাদের নৈতিক শিক্ষা:জরুরি কেন জানেন?

    Honor 200 Pro

    Honor 200 Pro বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    কম খরচে প্রযুক্তি ব্যবহার

    কম খরচে প্রযুক্তি ব্যবহার: দৈনন্দিন জীবনে সাশ্রয়ী উপায়

    ইংরেজি শেখার সেরা মোবাইল অ্যাপস:সহজ শেখার গাইড

    শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা কেন জরুরি

    শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা কেন জরুরি? জানুন কারণগুলি

    প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁত সাদা করা

    প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁত সাদা করা: সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.