নিজেস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের একটি গ্রাম ভাদার্ত্তী দক্ষিণপাড়া। গ্রামটিতে নানা পেশার শ্রমজীবি মানুষের বসবাস হলেও দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক কাজ করা শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি। এদের মধ্যে রিকসা চালক, ইজিবাইক চালক, রাজমিস্ত্রী সহযোগী, ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক উল্লেখযোগ্য। করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে বাইরে না চলাচলের নির্দেশনায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে ওই গ্রামের বেশিরভাগ কর্মজীবি মানুষগুলো।
তাই শুক্রবার (৩ এপ্রিল) রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শিবলী সাদিক তার গাড়িতে করে নিয়ে গেলেন খাদ্যসামগ্রী। আর সেই খাদ্যসামগ্রী ইউএনও ওই গ্রামের ঘরে ঘরে হেঁটে হেঁটে ১০টি পরিবারের প্রত্যেককে দিলেন ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল ও ৩ কেজি আলু।
ইউএনও’র দেয়া খাদ্যসামগ্রী পেয়ে অঝরে কাঁদলেন ওই গ্রামের আব্দুল বুইদ্দার স্ত্রী আমেনা বেগম (৭০)। তিনি বলেন, ঘরে চাল-ডাল কিছুই নেই। আমার স্বামীও কর্মহীন। তাছাড়া স্বামীর বয়সও হয়েছে। ছেলে সন্তান থেকেও নাই। এই চাল-ডাল দিয়ে রাতেই রান্না করে পেট ভরে খাবো। আর ইউএনও স্যারের জন্য দোয়া করব। মানুষের খারাপ সময় যে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তিনিই তো প্রকৃত মানুষ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান আকন্দ, কালীগঞ্জ পৌরসভার ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর আমিরুন্নেসা ইউএনও অফিসের সোহেল রানা, মিঠুন দাস, কালীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান আরমান প্রমুখ।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে ইউএনও মো. শিবলী সাদিক বলেন, আপনারা প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হবেন না। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাড়িতে অবস্থান করুণ। সময় মতো আমরাই আপনার খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেব।
কতদিন চলবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, পঞ্চম দিনের মতো চলছে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রমজীবি মানুষ যতদিন ঘরে থাকবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ চলবে ততদিন। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। যে খাবার দিলাম তা দিয়ে ১০ দিন চলবে। আমরা ১০ দিন পর আবার আসব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।