জুমবাংলা ডেস্ক : অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টের বেশ কয়েকদিন ধরেই ভুগছিলেন সফিকউদ্দিন ভূট্টো। গতকাল রাতে অবস্থা বেশ খারাপ হলে রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতালে নেয়া হলেও সেখানকার কর্তৃপক্ষ করোনার রোগী ভেবে ভর্তি করেননি তাকে। পরে রাত একটায় মারা যান তিনি। সফিকউদ্দিন ভূটোর মৃত্যু সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্টে মঞ্জু বলেছেন, ডাক্তারের পরামর্শে গতকাল সন্ধ্যায় সফিককে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসাপাতালে নেয়া হলেও সেখানে কঠোর নিরাপত্তার কারণে চিকিৎসকদের দেখাতে তিনঘণ্টা সময় লেগে যায়, পরে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান সফিক করোনার রোগী না, ওই হাসপাতালে যেহেতু করোনার রোগী ভর্তি তাই অ্যাজমার রোগী না রাখাই ভালো।
কিন্তু কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে আসার পর রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতালে সফিককে নেয়া হলেও সেখানকার চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি করান নি। কারণ তাদের ভাষ্যমতে সফিক করোনার রোগী। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের চিকিৎসকদের কথাটি বলা হলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয় নি। পরে রাত ১:১৫ মিনিটে মারা যায় সফিকউদ্দিন ভূটো।
নিজেদেরকে বড় অপরাধী মনে হচ্ছে জানিয়ে মঞ্জু ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, তোর দেশের প্রতি ভালোবাসার দাম আমরা দিতে পারিনি ভাই, আমাদের ক্ষমা করে দিস।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানায়, দেশে বর্তমানে করোনা নিশ্চিত বা সন্দেহভাজন এমন ৪৭ জন আছেন আইসোলেশনে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪৮ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭ জন। আর মারা গেছেন ৫ জন। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ৩৯ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।